জুলাই বৈষমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ হাফেজ মুত্তাকিনের লাশ পরিবারের বাধার কারণে ময়নাতদন্তের জন্য উত্তোলন করা যায়নি।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সকালে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার বরইচারা গ্রামের এ ঘটনা ঘটে।
মাগুরা বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে মাগুরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এনডিসি) উপস্থিতিতে মুত্তাকিনের লাশ উত্তোলনের জন্য বরইচারা কবরস্থানে আসেন তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক সৈয়দ সাজেদুরসহ সংশ্লিষ্টরা। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাগুরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এনডিসি) মোজাহিদুল ইসলাম ও ডা: কৃষ্ণ বিশ্বাস। সকাল থেকে লাশ উত্তোলনের চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, গ্রামবাসী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের বাধার মুখে লাশ উত্তোলন না করেই ফিরে যেতে হয় ।
জানা যায়, বৈষমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ২০ জুলাই মিরপুর-১০ নম্বর ফায়ার সার্ভিসের সামনের রাস্তায় মাথায় গুলি লেগে শহীদ হন মুত্তাকিন। পরে ওই ঘটনায় মুত্তাকিনের বড় ভাই মো: শিহাবুল ইসলাম ঢাকা মিরপুর থানায় পেনাল কোডের ৩০২ /১৪৯/৩৪ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর ১৩(৯)২৪ । তারই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সকালে বরইচারা গ্রামের কবরস্থান থেকে লাশ উত্তোলণের জন্য আসেন ঢাকা মেট্রো উত্তর পিবিআই।
লাশ উত্তোলনে আপত্তি জানিয়ে বাধা দেন তারা। তখন ঘটনাস্থলে উপস্থিত তদন্তকারী কর্মকর্তা এবং অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোজাহিদুল ইসলাম সময় দিয়ে আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
মামলার বাদী মুত্তাকিনের বড় ভাই মো: শিহাবুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, মামলাটির তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই থেকে আমাদের সাথে আগে যোগাযোগ করা হয়েছিল লাশ উত্তোলনের জন্য। আমরা বরাবরই লাশ উত্তোলনের বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছি। পিবিআই আদালতের মাধ্যমে সব কাজ সম্পন্ন করে লাশ উত্তোলনের জন্য আসেন। আমরা খবর পেয়ে এখানে এসে আপত্তি জানাই। তারা লিখিতভাবে আবেদন দিতে বললে, আমি, আমার মা রহিমা খাতুন ও মুত্তাকিনের স্ত্রী নায়মা এরিন নিতু লিখিত আপত্তি দিয়েছি। তখন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং তদন্তকারী কর্মকর্তা আমাদের আদালতের মাধ্যমে বিষয়টি এগিয়ে নেয়ার কথা জানান।