সিলেট-ফেঞ্চুগঞ্জ সড়কে গাড়ি থামিয়ে ডাকাতির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারের কথাও জানিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) রাত ৩টার দিকে জেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটক ডাকাতরা হলেন সাকেল আহমদ (৩৩), আক্তার হোসেন (৩৪) ও রিহাদ আহমেদ (৩৭)।
এর আগে সোমবার রাত ৩টার দিকে লালমাটিয়া রয়েল সিটি আবাসিক এলাকা সংলগ্ন সিলেট–ফেঞ্চুগঞ্জ সড়কে স্টেডফাস্ট কুরিয়ার সার্ভিস লিমিটেড-এর একটি কাভার্ডভ্যানকে একটি সাদা নোহা গাড়ি ব্যারিকেড দেয়। নোহা ও একটি সাদা প্রাইভেটকার থেকে ছয়-সাতজন সশস্ত্র ডাকাত দল স্টেডফাস্ট কুরিয়ার সার্ভিস লিমিটেড-এর চালক ও হেলপারকে মারধর করে কনটেইনার খুলে প্রায় ২০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় তারা গাড়ির হেলপারদের কাছ থেকে দু’টি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।
পুলিশ জানায়, ডাকাতির ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণের মাধ্যমে পুলিশ দক্ষিণ সুরমার পশ্চিমভাগ আবাসিক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অভিযুক্ত সাকেল আহমদকে তার শশুর বাড়ি থেকে আটক করে। সাকেলের তথ্য মোতাবেক ওই রাতেই পূর্ব শ্রীরামপুর এলাকা থেকে আক্তার হোসেন ও সুলতানপুর এলাকা থেকে রিহাদ আহমেদকে আটক করা হয়।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল হাসান জানান, আটককৃত তিনজনই উপস্থিত লোকজনের সামনে ডাকাতির ঘটনাটি স্বীকার করে। পরবর্তীতে মঙ্গলবার ভোরে আসামিদের দেয়া তথ্য মতে, আটক রিহাদ আহমেদের বাড়ির বাউন্ডারি ভেতরে কচুর ঝোপের ভেতরে লুকানো তিনটি সাদা প্লাস্টিকের বস্তা ও দু’টি কালো পলিথিনের বস্তা এবং দু’টি খাকি রঙের কার্টুনে থাকা ডাকতির মালামাল উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো জানান, আসামিরা স্বীকার করেছে তারা একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সদস্য এবং সিলেট মহানগর ও জেলার বিভিন্ন এলাকায় নিয়মিত ডাকাতি করে আসছিল। আসামিদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।
এ ঘটনায় সোমবারই মোগলাবাজার থানার মামলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।



