কুড়িগ্রামের চিলমারীতে জুলাই আন্দোলনের সংগঠক জোবায়ের আমিন হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে নিহতের স্বজন, এলাকাবাসীসহ বন্ধু ও জুলাইয়ের সহযোদ্ধারা।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১টা পর্যন্ত উপজেলা পরিষদ মোড়ে চিলমারী-কুড়িগ্রাম সড়কে বিভিন্ন দাবি সংবলিত প্লাকার্ড হাতে বিক্ষোভ করেন তারা।
এর ফলে দু’ঘণ্টা সড়কে সকল প্রকার যানবহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেয় বিক্ষুব্ধ জনতা।
এদিকে, চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের তদন্তের কোনো অগ্রগতি নেই, সেই ভয়াল রাতের ঘটনা জানা যায়নি। এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত মো: সাইনান মামলার প্রধান আসামি বলে জানা গেছে।
স্বজনরা সমাবেশে অভিযোগ করেন, জোবায়ের চিলমারী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ফজলুল হকের ছেলে হওয়ায় মামলাটির কোনো অগ্রগতি নেই।
জোবায়ের আমিনের বাবা আব্দুল জলিল আমিন বলেন, ফরেনসিক রির্পোটে এটি হত্যাকাণ্ড হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে হত্যাকারীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেছে, অথচ হত্যাকারীদের এখনো আইনের আওতায় নেয়া হয়নি। এটা বলেই কাঁন্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির নেতা আবু সাইদ হোসেন পাখি, যুবদল নেতা তাইবুর রহমান, জিয়াউর রহমান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৯ জুলাই রাতে ব্রহ্মপুত্র নদে পরে নিখোঁজ হওয়ার একদিন পর জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সংগঠক রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র জোবায়ের আমিনের লাশ ভেসে ওঠে। বিকৃত লাশ উদ্ধারের পর পরিবারের পক্ষ থেকে জোবায়ের আমিনের দুই বন্ধু মো: সাইনান স্বচ্ছ (২১) ও মো: ইউসুফ আহম্মেদ জায়েদ (২১) নামে ও আরো ছয় থেকে সাতজনকে অজ্ঞাত আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
এ ব্যাপারে চিলমারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম জানান, মামলাটি নথিভুক্ত হওয়ার পর থেকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) রংপুর তদন্ত করছে।