গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ওলামা মাশায়েখ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) উপজেলার শাহানা রশিদ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের হলরুমে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
কোটালীপাড়া উপজেলা জামায়াতের আমির মো: সোলায়মান গাজীর সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ মজলিসুল মোফাসীরিনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও গোপালগঞ্জ-১ আসনের জামায়াত প্রার্থী মাওলানা আব্দুল হামিদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন গোপালগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমির ও গোপালগঞ্জ-৩ আসনের জামায়াত প্রার্থী এম এম রেজাউল করিম।
সম্মেলনে গোপালগঞ্জ জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আল মাসুদ খান, কোটালীপাড়া উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মিজানুর রহমান সেকেন্দার, সেক্রেটারি মাওলানা ফরিদউদ্দিন মাসুদ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কোটালীপাড়া পৌর সভাপতি মাওলানা আনসার আলী, মাওলানা আসলাম উদ্দিন, মাওলানা ওমর ফারুক, মাওলানা সাদ আহম্মেদ, মাওলানা মাসুকুর রশিদ, মাওলানা আনোয়ারুল ইসলাম, মাওলানা আবুল বাসারসহ বিভিন্ন ইসলামীক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
গোপালগঞ্জ-১ আসনের জামায়াত প্রার্থী মাওলানা আব্দুল হামিদ বলেন, ‘আল্লাহর কোরআনের আইন কায়েম করতে হলে সংসদে কোরআনপন্থী লোকদের পাঠানো লাগবে। কোরআনে চোরের বিচার হাত কাটা, এ আইন বারবার পড়লে হবে না বাস্তবায়নও করতে হবে। সংসদে কোরআনপন্থী লোক থাকলে তখনই এ আইন পাশ হবে। ৫৪ বছর পর সুযোগ এসেছে। এবার সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যার ইচ্ছা যাকে ভোট দিবে, ভোট হলো গণতান্ত্রিক পদ্ধতি। নির্বাচনের মাধ্যম ছাড়া এ দেশে পরিবর্তন আনা সম্ভব নয়। এ ভোট যেন সুন্দর হয়, সুষ্ঠু হয় ও গ্রহণযোগ্য হয় সেজন্য ওলামায়ে-কেরামরা চেষ্টা করছেন। বাংলাদেশে এখন ৩১টি নিবন্ধিত দল। এরমধ্যে ২৬টি দল এক হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য পিআর পদ্ধতির কোনো বিকল্প নেই।’
গোপালগঞ্জ-৩ আসনের জামায়াত প্রার্থী এম এম রেজাউল করিম বলেন, ‘আল্লাহর দ্বীন ছাড়া যারা অন্য কোনো আদর্শ প্রতিষ্ঠা করতে চায় তাদের পরিচয় হচ্ছে তারা মুসলিম নয়। জাতির এ ক্রান্তিলগ্নে একটি গোষ্ঠী ভেদাভেদ সৃষ্টি করছে। হলুদ খামের লোভে কাদা ছোড়াছুড়ি করছে। এরা জাতির শত্রু, জাতির বেইমান ও এরা শাহাবাগী। এদের চিহ্নিত করতে হবে জাতির কাছে। আলেম-ওলামাদের এমন ভূমিকা পালন করতে হবে যাতে আর কোনো আলেমের প্রতি কেউ অত্যাচার ও নির্যাতন করার দুর্সাহস দেখাতে না পারে। এজন্য আলেম সমাজকে নিজেদের মর্যাদা রক্ষা করার জন্য আগামী পার্লামেন্টকে একটি কোরআনি পার্লামেন্ট করার জন্য সকল ওলামা-কেরামদের ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য সঙ্ঘবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাই।’



