কালিয়াকৈরে পৌরসভার টেন্ডার নিয়ে বিএনপির দু’পক্ষে হট্টগোল

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহাম্মেদ জানান, নিজেদের মধ্যে রাজনৈতিক গ্রুপিংয়ের প্রভাবে পৌরসভায় গণ্ডগোল হয়েছে। এটা তাদের রাজনৈতিক বিষয়। টেন্ডারের কোনো বিষয় না।

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) সংবাদদাতা

Location :

Kaliakior
কালিয়াকৈরে বিএনপির দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি
কালিয়াকৈরে বিএনপির দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি |নয়া দিগন্ত

গাজীপুরের কালিয়াকৈর পৌরসভার কমপ্লেক্সে টেন্ডার ড্রপিং নিয়ে বিএনপির দু’পক্ষে হট্টগোল ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এর আগেও টেন্ডারের প্রথম ধাপে বিএনপি'র এক অংশ পৌরসভায় হট্টগোল করে।

সোমবার (১৭ মার্চ) দুপুরে উপজেলার মাকিষবাথান এলাকায় দ্বিতীয় ধাপে টেন্ডার ড্রপিংয়ের সময় ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শামীম আল-মামুনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী কালিয়াকৈর পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহাদাৎ হোসেনের উপর হামলা করে। যদিও শাহাদাৎ টেন্ডার ড্রপিং নয়, পৌরসভায় গিয়েছিলেন ট্রেড লাইসেন্স নবায়নের জন্য। কিন্তু মামুন পক্ষের লোকদের ধারনা তাদের নেতাকে অবমাননাসহ শাহাদাৎ টেন্ডার ড্রপিং করবে।

জানা গেছে, প্রথমে পৌরসভার বহুতল ভবনে মামুন ও শাহাদাতের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে মামুন পুলিশের সামনেই শাহাদাৎকে চর-থাপ্পড় দিতে থাকে। পরে পৌরসভার ভবন চত্ত্বরে দ্বিতীয় পর্যায়ে মামুন আবারও শাহাদতের শার্টের কলার ধরে মারধর করতে থাকে। এক পর্যায়ে পুলিশ, সাধারণ নেতাকর্মীসহ পৌরসভার লোকজনের বাঁধায় পরিবেশ শান্ত হয়। পরে পৌরসভায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

শাহাদত হোসেন কালিয়াকৈর পৌরসভার সাবেক মেয়র মজিবুর রহমানের ঘনিষ্ট। অন্যদিকে মামুন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবীর খানের ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত।

দুপুর একটার দিকে কালিয়াকৈর পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহমেদের উপস্থিতিতে টেন্ডার ড্রপিং ও ওপেনিং কার্যক্রম শেষ হয়।

কালিয়াকৈর পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহাম্মেদ জানান, নিজেদের মধ্যে রাজনৈতিক গ্রুপিংয়ের প্রভাবে পৌরসভায় গণ্ডগোল হয়েছে। এটা তাদের রাজনৈতিক বিষয়। টেন্ডারের কোনো বিষয় না। পরে থানা পুলিশসহ সবার সহযোগিতায় শান্ত পরিবেশে টেন্ডার ড্রপিং ও ওপেনিং করা হয়। রিটেন্ডারে যিনি সর্বোচ্চ ডাক দিয়েছেন তাকেই ইজারা দেয়া হবে বলে জানান তিনি।