কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে তিনটি দোকান। এতে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে উপজেলার পৌর সদর বাজারের কলেজ রোড সংলগ্ন একটি ফুসকার দোকান থেকে এ আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
পুড়ে যাওয়া দোকান তিনটি হল পিংকি আক্তারের তুসকা রেস্টুরেন্ট, কামালের টাইসের দোকান, আল আমিন স্টুডিও। এছাড়াও আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলো হল তৃপ্তি হোটেল, আল আমিনের শোপিচের দোকান, বাতিঘর বই দোকান এবং খেলা ঘর।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাত ১০টার দিকে পিংকি আক্তারের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মূহুর্তের মধ্যে আশপাশের কয়েকটি দোকানে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। শুরুতে স্থানীয় লোকজন আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। পরে খবর পেয়ে সাড়ে ১০টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের পাকুন্দিয়া ইউনিটের সদস্যরা উপস্থিত হয়ে এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। ততক্ষনে তিন দোকানের সম্পূর্ণ মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এছাড়া আরো চারটি দোকানের আংশিক ক্ষতি হয়েছে। এতে ব্যবসায়ীদের প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: বিল্লাল হোসেন, পল্লী বিদ্যুত সমিতি পাকুন্দিয়া জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার নিতাই দাসসহ পুলিশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে।
আল আমিন স্টুডিও এর মালিক জানান, তার স্টুডিওসহ দু’টি দোকান একসাথে ছিল। তার মধ্যে স্টুডিওটি সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে অন্য দোকেনেরও আংশিক ক্ষতি হয়েছে। এতে তার ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের পাকুন্দিয়া ইউনিটের সাব অফিসার মো: সারোয়ার হোসেন বলেন, ‘বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টায় আমাদের দু’টি টিম মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। স্থানীয় লোকজনও আমাদের টিমকে সহায়তা করেছেন।’



