বাংলাদেশ-ভারত ত্রিপুরা সীমান্তের নোম্যান্সল্যান্ড থেকে ৯০টি ভারতীয় পরিবার সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। ভারতের গৃহ মন্ত্রনালয়ের নির্দেশে বৃহস্পতিবার দুপুরে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গেলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
আজ শুক্রবার ত্রিপুরার গণমাধ্যমগুলোতে এই খবর প্রকাশ করেছে।
প্রকাশিত খবরে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্ত বরাবর ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের কমলাসাগর এলাকার মতিনগর সীমান্তের নোম্যান্সল্যান্ডে এই পরিবারগুলো বংশপরম্পরায় বসবাস করে আসছে। যাদের বেশিভাগই মুসলিম পরিবার। কাঁটাতারের বেড়া দেয়ার সময় ৯০টি পরিবার পড়ে যায় নোম্যান্সল্যান্ডে। বেড়ার ৯৮ নম্বর গেট দিয়ে তারা পথ চলাচল করে বসবাস করছে। সম্প্রতি ভারতের গৃহ মন্ত্রনালয় পুর্নবাসনের আশ্বাস দিয়ে পরিবারগুলোকে নোম্যান্সল্যান্ড থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। কিন্তু আগাম নোটিশ ছাড়া বৃহস্পতিবার দুপুরে সেখানকার বিদ্যুৎ দফতরের লোকজন পুলিশ নিয়ে সমস্ত পরিবারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে আসে। এতে তারা বাধা দেয় এবং উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
খবরে স্থানীয়দের বক্তব্যে বলা হয়, রমজান মাস শেষ কয়েকদিনের মধ্যেই পবিত্র ঈদ আসছে। এই অবস্থায় আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে বিষয়টির সমাধান না করে জোর করে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা হয়েছে।
তারা জানান, ত্রিপুরার রাজ্যপাল ইন্দ্রসেনা রেড্ডি তাদেরকে অন্যত্রে পুর্নবাসন করে সরিয়ে নেয়ার আশ্বাস দেন। সে অনুযায়ী তারা পঞ্চয়াতের মাধ্যমে আবেদন করেছে। কিন্তু তাদের থাকার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা না করে সরকার জোর করে তাদের উচ্ছেদ করতে চাইছে।
সূত্র : ত্রিপুরা রাজ্য থেকে প্রকাশিত দৈনিক দেশের কথা, জাগরণত্রিপুরা, স্যন্দন পত্রিকা