লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে ভাতিজা মো: তোফায়েল (৩৭), মো: মোহন (৩৪) ও তাদের সহযোগি পৌর যুবদলের সদস্য মো: সুমন চৌধুরীসহ (৪৫) আট-নয়জনের হামলায় চাচা হাসমত উল্যাহ (৭০) নিহত হয়েছেন।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) রাত ১১টার দিকে রামগঞ্জ পৌর ২ নম্বর ওয়ার্ড বাঁশঘর গ্রামের আহমেদ আলী হাজী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হাসমত উল্যাহের বড় ছেলে শাহীন হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাত ১১টায় বাঁশঘর গ্রামের আহমেদ আলী হাজী বাড়ির হাসমত উল্যার বসতঘর জোরপূর্বক দখলকরতে গেলে বাধা দেন হাসমত উল্যাহ ও তার পরিবারের সদস্যরা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ভাতিজা তোফায়েল ও মোহন ভাড়া করা বাহিনী দিয়ে হাসমত উল্যার ওপর হামলা চালিয়ে মারধর করে। মারাত্মক আহতবস্থায় হাসমত উল্যাকে উদ্ধার করে রামগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পরপরই তোফায়েল আহম্মেদ ও মোহন আত্মগোপনে চলে যান। উত্তেজিত জনতা আজ মঙ্গলবার সকালে তোফায়েল ও মোহনের বসতঘর থেকে আসবাবপত্র বের করে আগুন লাগিয়ে দেয়।
স্থানীয় এলাকবাসী বেলা ১২টার দিকে তোফায়েল ও মোহনের বাড়ির পাশের বাগান থেকে বেশ কিছু ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশকে অবগত করেন।
রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল বারী জানান, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হসপিটাল মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।



