এস আলম ভেজিটেবল অয়েলের চাকরিচ্যুত কর্মীদের ফের অবস্থান কর্মসূচি

শনিবার (৯ আগস্ট) সকাল ৮টার দিকে কর্ণফুলীর মইজ্জারটেক এলাকায় অবস্থিত কারখানাটির সামনে অবস্থান কর্মসূচি করেছেন চাকরিচ্যুত কর্মীরা।

কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা

Location :

Chattogram
এস আলম ভেজিটেবল অয়েল লিমিটেডের চাকরিচ্যুতের মানববন্ধন
এস আলম ভেজিটেবল অয়েল লিমিটেডের চাকরিচ্যুতের মানববন্ধন |নয়া দিগন্ত

বিনা কারণে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়ার প্রতিবাদে ফের অবস্থান কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন চট্টগ্রাম কর্ণফুলীর মইজ্জারটেকে অবস্থিত এস আলম ভেজিটেবল অয়েল লিমিটেডের ৪৭ জন কর্মী।

শনিবার (৯ আগস্ট) সকাল ৮টার দিকে কর্ণফুলীর মইজ্জারটেক এলাকায় অবস্থিত কারখানাটির সামনে অবস্থান কর্মসূচি করেছেন চাকরিচ্যুত কর্মীরা।

কর্মচারীরা জানায়, গত ২৬ জুলাই সকালে তারা অন্যদিনের মতো কর্মস্থলে গেলে কারখানার গেইটের ভেতরে তাদের নাম ও আইডি নম্বরসহ একটি নোটিশ দেখতে পান।

নোটিশে বলা হয়, কারখানা কর্তৃপক্ষ তাদের চাকরিচ্যুত করেছে। তবে নোটিশে চাকরিচ্যুতির ব্যাপারে কোনো কারণ দেখানো হয়নি।

তারা বলেন, আমাদের কারখানায় নিয়মিত উৎপাদন কাজ চলছে। সকাল থেকে মালামাল পরিবহনের জন্য গাড়ি চলাচল করছে। গ্রুপের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে উৎপাদন বন্ধ থাকা সত্ত্বেও কর্মচারীরা নিজ কর্মস্থলে বহাল রয়েছে। কোন অপরাধে আমাদের চাকরিচ্যুত করেছে কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা জানতে চাই।

তারা আরো বলেন, ‘হঠাৎ করে চাকরি থেকে ছাঁটাইয়ের কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছি না। এ অবস্থায় আমরা কোথায় যাবো? আমরা আট থেকে ১২ বছর যাবত এ প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছি। এ চাকরি ছাড়া উপার্জনের বিকল্প কোনো উপায় আমাদের কাছে নেই। আমরা ৪৭ জন কর্মী, আমাদের পরিবারও রয়েছে। আমাদের চাকরিচ্যুত না করার জন্য মালিকপক্ষের কাছে আমরা আকুল আবেদন জানাচ্ছি। অন্যথায়, আমাদের বিক্ষোভ চলতে থাকবে।’

এস আলম ভেজিটেবল অয়েল লিমিটেডের জিএম ইঞ্জিনিয়ার রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘৫ আগস্টের পর থেকে কারখানায় উৎপাদন সমস্যা চলছে। মালিকপক্ষ গত ১১ মাস পর্যন্ত কর্মচারীর বেতন চালিয়ে গেছেন। এখন মালিকপক্ষ অপারগতা জানিয়ে কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘তারা অস্থায়ী কর্মচারী। তাদেরকে কোনো নিয়োগপত্র দেয়া হয়নি। কাজ চললে তারা বেতন পাবেন অন্যথায়, মালিকপক্ষ তাদেরকে যেকোনো সময় চাকরি থেকে অব্যাহতি দিতে পারবেন।’

এ সময় বিক্ষুব্ধ কর্মীদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে কর্ণফুলী ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর সওকত ও কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি মোহাম্মদ শরীফ ঘটনাস্থলে আসেন। তারা মালিকপক্ষের সাথে কথা বলে তাদেরকে সমঝোতায় বসানোর চেষ্টা করে আগামী সোম-মঙ্গলবার যেকোনো দিন কর্মীদের সাথে সরাসরি কথা বলে সমস্যা সমাধানের জন্য বলেন।

বিক্ষোভটি সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চলমান ছিল। এতে উপস্থিত ছিলেন নুর জামাল, কাশেম, আরিফ, ইমাম, আলাউদ্দীন ও শফিসহ চাকরিচ্যুত সকল কর্মীরা।

তাদের দাবি চাকরি ফিরিয়ে দেন। অন্যথায়, আমরা পরিবার-পরিজন নিয়ে আরো কঠোর আন্দোলন-কর্মসূচি গ্রহণ করবো।