নরসিংদীর পাঁচদোনা মোড়ে পাকিজা গ্রুপের ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ এবং আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশের গাড়িতে হাত বোমা নিক্ষেপ এবং দুইজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন।
সোমবার (১৮ আগস্ট) এ ঘটনায় রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। এর আগে রোববার সন্ধ্যা রাতে শুরু হয়ে রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত পাঁচদোনা মোড় এলাকায় দফায় দফায় এই সংঘর্ষ হয়। তবে, পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি ।
আহতদের মধ্যে পাঁচদোনা এলাকার তাইজুদ্দিনের ছেলে হামিদ মিয়া (২৮), বিল্লাল মিয়ার ছেলে হাসান মিয়া (২৮)। উদ্ধার করে দুইজনকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। অন্য আহতদের মুমূর্ষ অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তার, ফুটপাত থেকে চাঁদাবাজি ও পাঁচদোনা মোড়ের যাতায়েত সিএনজি স্টেশন দখল নিয়ে গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে বিরোধ শুরু হয় ইউনিয়ন বিএনপির সহ সভাপতি লালু মিয়া অরফে লাল মিয়া ও বিএনপির কর্মী মোসাদ্দেক হোসেনের মধ্যে ওই ঘটনায় পাচঁদোনা ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আলম নিহত হয়। আবার তারা ঝুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়েছে।
সর্বশেষ রোববার সন্ধ্যা রাতে স্থানীয় পাকিজা গ্রুপের ঝুট নিয়ে মোছাদ্দেকের এক কর্মীর উপর হামলা চালায় লালু মেম্বারের লোকজন। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়ায়। সন্ধ্যা রাতে থেকে দফায় দফায় সংঘর্ষে দুই গ্রুপের অন্তত আটজান আহত হয়। একাধিক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে এবং দুই গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থান নেয় মাঝ খানে পুলিশ অবস্থান নেয়। দীর্ঘ সময় ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক বন্ধ থাকে।
নরসিংদী সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন শামীম বলেন, ‘সন্ধ্যায় তাদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয় এবং রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত তারা পরস্পর মুখোমুখি অবস্থান করে। আমরা উভয় গ্রুপের মাঝে অবস্থান করছি।’
মাধবদী থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনায় ডাকাডাকি করে গলা বসে গেছে ভাই কথা বলতে পারি না যা শুনছে তা সত্য লিখে দেন।’