জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরীর আমির মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেছেন, ‘মানিকগঞ্জের আবুল সরকার নামক একজন বাউল সম্প্রতি আল্লাহ, রাসূল (সা.) ও কুরআন সম্পর্কে মনগড়া, অশ্লীল ও ধিকৃত মন্তব্য করে বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী মুসলিমসহ সকল ধর্মপ্রাণ জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে চরমভাবে আঘাত করেছে। ধর্মপ্রাণ ও বিবেকবান জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনের প্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তী সরকার তাকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়েছে।’
সোমবার (১ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের কার্যালয়ে চট্টগ্রাম মহানগরীর জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্যদের সাথে ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সেক্রেটারিয়েটের সমন্বয় বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সোশাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায় ওই বাউল আবুল সরকার ১৮ সালের নিশিরাতের নির্বাচন বা চব্বিশের ডামি-আমি নির্বাচনে ফ্যাসিস্ট হাসিনার পক্ষে গানের আসর জমিয়েছেন। পতিত ও পলাতক ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরকে অবশ্যই উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। ধিকৃত ও গ্রেফতারকৃত আবুল সরকারের পক্ষাবলম্বনকারীরা দেশে পরিকল্পিতভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। চরম বামেরাও স্বৈরাচারের দোসর আবুল সরকারের পক্ষাবলম্বন করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটের অপচেষ্টা করছে। তাদের সব ধরনের অপতৎপরতা বন্ধে প্রশাসনকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
বৈঠকে আরো বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি মুহাম্মদ আলী, চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন, ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সেক্রেটারি মোহাম্মদ পারভেজ, চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ উল্লাহ, মহানগরী সাংগঠনিক সম্পাদক ডা: সিদ্দিকুর রহমান, মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য হামেদ হাসান ইলাহী, ফখরে জাহান সিরাজী, অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুন্নবী, ছাত্রনেতা মুজাহিদুল ইসলাম, আব্দুর রহিম, শরীফুল ইসলাম, নিয়ামত উল্লাহ, হাবিব উল্লাহ, মোশাররফ হোসেন, আমান উল্লাহ ও মুহাম্মদ ইয়াছিন প্রমুখ।



