নোয়াখালী জেলা সদর উপজেলায় ইসলামী ছাত্রশিবির আয়োজিত কোরআন তা’লিম অনুষ্ঠানে রোববার বিকেলে সন্ত্রাসী হামলায় শিবিরের অন্তত ৩০জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তাদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা যায়, সদর উপজেলার নেয়াজপুর ইউনিয়নের কাশেমবাজার মসজিদে ছাত্রশিবির কোরআন তালিমের আয়োজন করে। এসময় ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি ফারুক ও বিএনপির নেতাকর্মীরা সন্ত্রাসী কায়দায় দেশী অস্ত্রশস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে মসজিদের ভেতর ঢুকে হামলা চালায়। এতে শিবিরের অন্তত ৩০ জন আহত হন।
বিএনপির কর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে মসজিদ ঘেরাও করে রাখে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে মসজিদের ভেতর আটকা পড়াদের উদ্ধার এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে নোয়াখালী শহর জামায়াতের উদ্যোগে মাইজদীতে এ প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
নোয়াখালী শিবির শহর সভাপতি হাবিবুর রহমান আরমান ও শাখা সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ আল মাহবুব এক যৌথ বিবৃতিতে হামলার নিন্দা ও দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানান।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, ‘নেয়াজপুর ইউনিয়নের কাশেমবাজার মসজিদে ছাত্রশিবির আয়োজিত কোরআন তা’লিম অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় স্থানীয় যুবদল নেতা ফারুক ও তার সহযোগীরা মসজিদের ভেতরে মব সৃষ্টি করে ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। মসজিদের ভেতরে কোরআন তা’লিমের মতো ধর্মীয় শিক্ষামূলক আয়োজনে এমন হামলা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক ও নিন্দনীয়।’



