পাবনায় ছাত্রহত্যা মামলা

পাবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতিসহ ১৩৬ জনের নামে চার্জশিট

চার্জশিটে পাবিপ্রবি ছাত্রলীগ সভাপতি ফরিদুল ইসলাম বাবু ৭৬ নম্বর এবং সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল্লাহ ৭৭ নম্বর আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।

বি এম মিকাইল হোসাইন, পাবিপ্রবি

Location :

Pabna
পাবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক
পাবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক |নয়া দিগন্ত

পাবিপ্রবি প্রতিনিধি

পাবনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) ছাত্রলীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম বাবু ও সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল্লাহসহ ১৩৬ জনের নামে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) রাতে পাবনা সদর থানার পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার সাহা আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন।

তদন্ত কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ মামলায় এ পর্যন্ত ৩৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হলেও অন্য আসামিরা পলাতক। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

চার্জশিটে পাবিপ্রবি ছাত্রলীগ সভাপতি ফরিদুল ইসলাম বাবু ৭৬ নম্বর এবং সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল্লাহ ৭৭ নম্বর আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।

এ বিষয়ে পাবনা জেলা জজ কোর্টের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) গোলাম সরওয়ার খান জুয়েল বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা ফোনে চার্জশিট দাখিলের বিষয়টি জানিয়েছেন। এখনো চার্জশিটের অনুলিপি হাতে পাওয়া যায়নি। এজাহারে ১০৩ জনের নাম থাকলেও তদন্তে আরও ৩৪ জনকে যুক্ত করা হয়েছে। কারও নাম বাদ পড়েনি বলে জানা গেছে।

২০২৪ সালের ৪ আগস্ট দুপুরে পাবনা শহরের ট্রাফিক মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলির ঘটনা ঘটে। সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা এ হামলায় অংশ নেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম (১৮) এবং সিদ্দিক মেমোরিয়াল স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র মাহবুব হোসেন নিলয় (১৬) নিহত হয়।

পরবর্তীতে ১০ আগস্ট নিহত জাহিদুল ইসলামের বাবা মো. দুলাল উদ্দিন বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা করেন। মামলায় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়। দীর্ঘ এক বছর পর অবশেষে এ মামলার চার্জশিট আদালতে দাখিল করা হলো।