পদ্মার ভাঙনে ঝুঁকিতে দৌলতদিয়ার ৩ ফেরিঘাট

প্রতিবছরই ভাঙনরোধে দায়সারা ব্যবস্থা নেয়া হয়। স্থায়ী সমাধানের কোনো উদ্যোগ নেই। ইতোমধ্যে ১, ২ ও ৫ নম্বর ফেরিঘাট নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। বন্ধ থাকা ৬ নম্বর ঘাটও আছে ভয়াবহ ভাঙনের মুখে।

এম মনিরুজ্জামান, রাজবাড়ী

Location :

Rajbari
ভাঙনে ঝুঁকিতে দৌলতদিয়ায় ফেরিঘাট
ভাঙনে ঝুঁকিতে দৌলতদিয়ায় ফেরিঘাট |নয়া দিগন্ত

পদ্মার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে ঝুঁকিতে রয়েছে ৩, ৪ ও ৭ নম্বর ফেরিঘাট। এরমধ্যে ৪ ও ৭ নম্বর ঘাট সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে বলে জানায় স্থানীয়রা।

জানা গেছে, এই নৌরুট দিয়ে প্রতিদিন রাজধানীর সাথে যোগাযোগ করে হাজার হাজার যাত্রী ও যানবাহন। তবে ভরা মৌসুমে পানি বৃদ্ধির কারণে নদী পারাপারে আগের চেয়ে দ্বিগুণ সময় লাগছে। ফেরিতে যানবাহন উঠাতে-নামাতেও বিড়ম্বনায় পড়ছেন চালকরা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতিবছরই ভাঙনরোধে দায়সারা ব্যবস্থা নেয়া হয়। স্থায়ী সমাধানের কোনো উদ্যোগ নেই। ইতোমধ্যে ১, ২ ও ৫ নম্বর ফেরিঘাট নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। বন্ধ থাকা ৬ নম্বর ঘাটও আছে ভয়াবহ ভাঙনের মুখে।

দৌলতদিয়ার বাসিন্দা ফতে বেগম জানান, ‘৭ নম্বর ঘাটের পাশের আমার বাড়ি ভাঙনে মুহূর্তেই নদীতে তলিয়ে গেল। এভাবে চলতে থাকলে পুরো গ্রামই কয়েক দিনের মধ্যে নদীতে তলিয়ে যাবে।’

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, ‘ঘাট এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন মহলকে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ-এর ইঞ্জিনিয়াররা কাজ করছেন।‘

বিআইডব্লিউটিএ-এর আরিচা অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী নেপাল চন্দ্র দেবনাথ জানিয়েছেন, দ্রুততম সময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাহিদুর রহমান বলেন, ‘আমরা ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছি। তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রস্তুত আছে। স্থানীয়রা ফেরিঘাট রক্ষায় জরুরিভিত্তিতে জিওব্যাগ ফেলাসহ স্থায়ী ভাঙনরোধে কার্যকর উদ্যোগ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন।’