মিয়ানমারের পানিসীমায় মাছ শিকার

টেকনাফের ১৯টি ফিশিং বোটসহ ১২২ জেলেকে আটক কোস্ট গার্ডের

কোস্ট গার্ড জানিয়েছে, তাদের আটক না করলে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরকান আর্মির সদস্যরা তাদের অপহরণ করে পণবন্দী করে রাখতো।

গোলাম আজম খান, কক্সবাজার অফিস

Location :

Cox's Bazar
মিয়ানমার জলসীমায় মাছ ধরায় ১২২ জেলেকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড
মিয়ানমার জলসীমায় মাছ ধরায় ১২২ জেলেকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড |ছবি : নয়া দিগন্ত

নাফ নদীর মোহনা এলাকায় বাংলাদেশের পানিসীমা অতিক্রম করে মিয়ানমারের সীমায় মাছ শিকার করার অপরাধ টেকনাফের ১৯টি ফিশিং বোটসহ ১২২ জেলেকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড।

কোস্ট গার্ড জানিয়েছে, তাদের আটক না করলে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরকান আর্মির সদস্যরা তাদের অপহরণ করে পণবন্দী করে রাখতো।

শুক্রবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক গণমাধ্যমে দেয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে তিনি জানান, কোস্ট গার্ড জানতে পারে টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ সংলগ্ন এলাকা হতে বেশকিছু বাংলাদেশী ফিশিং বোট নাফ নদীর মোহনার অদূরে মিয়ানমার-বাংলাদেশ পানিসীমার শূন্যরেখা অতিক্রম করে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে মাছ ধরছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে কোস্ট গার্ডের শাহপরী ইউনিটের কয়েকটি টহল টিম আজ শুক্রবার শাহপরীর দ্বীপ সীমান্ত পিলার-০৩ এলাকার আওতাধীন মায়ানমারের নাইক্ষ্যংদিয়া সংলগ্ন নাফ নদীর মোহনা হতে জালিয়াপাড়া পর্যন্ত মিয়ানমারের পানিসীমা এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান চলাকালীন মাছ ধরার উদ্দেশ্যে অবৈধভাবে মিয়ানমার-বাংলাদেশ পানিসীমানার শূন্যরেখা অতিক্রম করে মিয়ানমার পানিসীমায় অবস্থানরত ১৯টি বাংলাদেশী ফিশিং বোটসহ ১২২ জন জেলেকে আটক করে। এসব জেলের মধ্যে ২৯ জন বাংলাদেশী এবং ৯৩ জন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা রয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও গত কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশী ফিশিং বোটগুলোর মিয়ানমার ও বাংলাদেশের শূন্যরেখা অতিক্রম করে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে মাছ শিকারের প্রবণতা অতিরিক্ত পরিমাণে বেড়ে গেছে। যার ফলে, আরাকান আর্মি প্রায় প্রতিদিনই বাংলাদেশী জেলেদের বোটসহ অপহরণ করে নিয়ে যাচ্ছে।

আটককৃত জেলে ও জব্দকৃত বোটের পরবতী আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

এছাড়া স্থানীয় জেলেদের নিরাপত্তায় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড কর্তৃক ভবিষ্যতেও এধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে উল্লেখ করা হয়।