বলা হয়ে থাকে ‘সোনালি আঁশে ভরপুর, আমাদের জেলা ফরিদপুর’। অথচ সেই ফরিদপুরের নগরকান্দা ও সালথায় পানির অভাবে পাট জাগ দিতে পারছেন না চাষিরা। ফলন ভালো হলেও ক্ষেতের পাট ক্ষেতেই শুকিয়ে নষ্ট হচ্ছে অনেকের।
এ নিয়ে হতাশা আর দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে সালথা ও নগরকান্দা উপজেলার যদুনন্দী, গট্টি, ভাওয়াল, সোনাপুর, আটঘর, মাঝারদিয়া, বল্লভদী, পুরাপাড়া এবং চরযশোরদী ইউনিয়নের পাট চাষিদের।
উপজেলা প্রশাসনের আশ্বাস আর ভরসায় পাট চাষিরা আশ্বস্ত হলেও কিছুতেই কাটছে না পানির সঙ্কট। গত কয়েক বছরের তুলনায় সালথা-নগরকান্দায় এ বছর ব্যাপক হারে চাষ হয়েছে পাটের, ফলনও ভালো হয়েছে। তবে নদী-নালা, খালবিলে পানি না থাকায় সময়মতো পাট জাগ দিতে না পারায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করছে চাষিরা।
উপজেলার বাউশখালী গ্রামের কৃষক মো: মন্দার মোল্লা, আলতাফ খাঁ, পুরাপাড়া ইউনিয়নের দফা গ্রামের গোলাম রব্বানী,আব্দুল জব্বার ও আলেপ শেখার অভিযোগ করে বলেন, কাঁচা পাট অন্য কোনো পদ্ধতিতে জাগ দেয়া যায় কিনা সে বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে প্রশিক্ষণ বা পরামর্শ দেয়নি কৃষি কর্মকর্তারা। একইসাথে কুমার নদীর স্লুইচগেটগুলো খুলে দেয়ার দাবিও জানান তারা।
নগরকান্দা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তিলক কুমার ঘোষ বলেন, রিবন রেটিং পদ্ধতিতে কৃষকদের প্রশিক্ষণ পরামর্শ কেউ নিতে চাইলে, আমাদের মাঠ পর্যায়ে যে কর্মকর্তা রয়েছেন তাদের সাথে যোগাযোগ করলে অবশ্যই তারা পাশে থেকে পরামর্শ দিবে।
নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দবির উদ্দিন বলেন, ইতোমধ্যেই জেলা প্রশাসক, পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে অবগত করেছি, স্লুইচগেটগুলো যেন খুলে দেয়া হয় তাও বলা হয়েছে। যাদে সালথা- নগরকান্দার কৃষকদের দীর্ঘদিনের এ দুর্ভোগ লাঘব হয় এবং পাটের যে সুন্দর কালার তা যেন ফিরে পায়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য মতে, সালথা ও নগরকান্দা উপজেলায় এ বছর ২৫ হাজার হেক্টরে জমিতে পাটের চাষাবাদ হয়েছে। ফলনও ভালো হয়েছে। এখন ঠিকভাবে জাগ দিতে পারলে ভালো মুনাফা পাওয়া যাবে।