গাইবান্ধা সদর-২ আসনের সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ্ সারোয়ার কবিরের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) বিকালে গাইবান্ধা জেলা অতিরিক্ত চিফ জুটিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো: জাহাঙ্গীর হোসেনের আদালতে এই আদেশ দেন।
এ সময় আদালতে আসামি উপস্থিত ছিলেন। আসামি পক্ষের প্রধান আইনজীবী নিরঞ্জন রায়ের নেতৃত্বে শতাধিক আইনজীবী আদালতে শুনানিতে অংশ নেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষ, বিএনপিপন্থী আইনজীবী বা কেউই আসামির বিপক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় গাইবান্ধা জেলা বিএনপি ও যুবদল অফিসে হামলা করে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলার আসামি ছিলেন সাবেক এমপি শাহ্ সারোয়ার কবির। তিনি স্বৈরাচার হাসিনার পতনের পর পরই আত্মগোপনে চলে যান। তিনি গ্রেফতার এড়াতে তার ভগ্নিপতি দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের সাবেক উপবিদ্যালয় পরিদর্শক ও বড় বোন দিনাজপুর সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর আফরোজা পারভীন কবির দম্পতির দিনাজপুর শহরের বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন।
গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে দিনাজপুর শহরের ঈদগাহ আবাসিক এলাকার দীবা গার্ডেন বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বুধবার দুপুরে গাইবান্ধায় আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে তাকে প্রেরণ করা হয়। আদালত থেকে বের হওয়ার সময় পুলিশ হাতকড়া লাগানোর সময় দায়িত্বরত পুলিশের উপর শাহ্ সারোয়ার কবির ক্ষেপে যান। পরে পুলিশ হাতকড়া না পরিয়ে কার্ভাডভ্যানে করে জেল হাজতে নিয়ে যান।
গাইবান্ধা আদালতের পুলিশের উপ-পরিদর্শক আজিজুল হক বলেন, ‘আদালতে আসামি শুনানির সময় আমি রাষ্ট্র পক্ষের হিসেবে ছিলাম। তবে আদালতে রাষ্ট্র পক্ষের কোনো আইনজীবীকে দেখিনি।
গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জর্জ আদালতের রাষ্ট্র পক্ষের প্রধান আইনজীবী (পিপি) আব্দুল হালিম প্রমাণিক বলেন, ‘আমি ডিসি অফিসে থাকার কারণে ওই আসামির বিপক্ষে আদালতে উপস্থিত থাকতে পারিনি। আগামীকাল ওই আসামির বিরুদ্ধে আদালতে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে।’