ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার বড় ফেনী নদীর আমিরাবাদ ইউনিয়ন অংশে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও সরকারি জমি দখল করে মাছের প্রকল্প স্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেতাসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো: বেলায়েত হোসেন ১৮ জনের নাম উল্লেখসহ অর্ধশত অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
আসামিরা হলেন- আমিরাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান, জেলা যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন মহিম, নুর আলম, নিজাম উদ্দিন, মিরসরাই বিএনপি নেতা শেখ ফরিদ মেম্বার, জেলা ছাত্রদলের সদস্য শরিফুল ইসলাম রানা মুন্সি, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোহাম্মদ মাসুদ, আজিজ মেম্বার, শাহজাহান সাজু, হক সাহাব, ছাত্রদল নেতা নুর আলম শামীম, মো: মাসুদ, যুবদল নেতা নিজাম হাজারীর ভাগিনা হায়দার আলী মাসুদ ভূঁঞা, মো: রিপন, মো: রাজু, মিলন ভূঁঞা এবং উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুল আউয়াল সজীব।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ (সংশোধনী ২০২৩), ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন ২০২৩ এবং পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ লঙ্ঘন করেছেন।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ আগস্ট থেকে ২৯ আগস্ট পর্যন্ত নবাবপুর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর ও মোবারকঘোনা এলাকায় বড় ফেনী নদীর পাড় থেকে ড্রেজিং মেশিন ব্যবহার করে বালু-মাটি উত্তোলন এবং সরকারি জমি দখল করে মাছের প্রকল্প স্থাপন করা হয়। এতে নদীর তীর ভাঙন, বালুর চর সৃষ্টি এবং বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
অন্যদিকে, ৯ আগস্ট থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত আমিরাবাদ ইউনিয়নের সোনাপুর এলাকার কলমির চর থেকে স্কেভেটর মেশিন ব্যবহার করে সরকারি জমি কেটে মাটি উত্তোলন, জমির শ্রেণি পরিবর্তন এবং মাছের প্রকল্প স্থাপন করা হয়েছে।
প্রশাসন একাধিকবার যৌথ অভিযান পরিচালনা করলেও আসামিরা পুনরায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও জমি দখলের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বায়েজিদ আকন্দ বলেন, ‘বালু উত্তোলনের ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’