মুরাদনগরে ট্রিপল মার্ডার

ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৩৮ জনের নামে মামলা, আটক ৮

ট্রিপল মার্ডারের ঘটনায় শুক্রবার রাতে নিহত রুবি আক্তারের বড় মেয়ে রিক্তা আক্তার ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৩৮ জনের নামে বাঙ্গরা বাজার থানায় মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

নাজিম উদ্দিন, মুরাদনগর (কুমিল্লা)

Location :

Muradnagar
আটককৃতরা
আটককৃতরা |সংগৃহীত

কুমিল্লা মুরাদনগরের কড়ইবাড়ি গ্রামে একই পরিবারের তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা মামলার ঘটনায় ছয়জনকে আটক করেছে র‌্যাব-১১। এছাড়া দুইজনকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।

শনিবার (৫ জুলাই) বিকেলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব জানিয়েছে, আটককৃতরা হলেন, বাঙ্গরা বাজার থানার করইবাড়ী এলাকার মৃত আলী আকবরের ছেলে বাচ্চু মিয়া (৫৫), মৃত ছপি মোল্লার ছেলে রবিউল আউয়াল (৫৫), বাচ্চু মিয়ার ছেলে আতিকুর রহমান (৪২), রবিউল আউয়ালের ছেলে মো: বায়েজ মাস্টার (৪৩) এবং হায়দরাবাদ এলাকার মালু মিয়ার ছেলে দুলাল (৪৫) ও দুলাল মিয়ার ছেলে আকাশ (২২)।

অপরদিকে, বাঙ্গরা বাজার থানাধীন আকুবপুর ইউনিয়নের পীর কাশিমপুর এলাকা থেকে সবির আহমেদ ও নাজিম উদ্দিন বাবুলকে আটক করে সেনাবাহিনী।

ট্রিপল মার্ডারের ঘটনায় শুক্রবার রাতে নিহত রুবি আক্তারের বড় মেয়ে রিক্তা আক্তার ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৩৮ জনের নামে বাঙ্গরা বাজার থানায় মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

ওই মামলার পর র‌্যাব-১১ পৃথক পৃথক অভিযান চালিয়ে ঢাকার রামপুরা থানাধীন বনশ্রী এলাকা ও বাঙ্গরা বাজার থানাধীন হায়দরাবাদ এলাকা থেকে এবং যৌথবাহিনী আকুবপুর ইউনিয়নের পীর কাশিমপুর এলাকা থেকে আসামিদেরকে আটক করা হয়েছে।

বাঙ্গরা বাজার থানার (ওসি) মাহফুজুর রহমান বলেন, যৌথবাহিনীর অভিযান চলছে এবং অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন এবং টহল জোরদার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকালে উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার করইবাড়ী গ্রামে মা ও দুই সন্তানসহ একই পরিবারের তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। নিহতরা হলেন—খলিলুর রহমানের স্ত্রী রোকসানা আক্তার রুবি (৫৩), ছেলে রাসেল মিয়া (৩৫) এবং মেয়ে জোনাকি আক্তার (২৫)। গুরুতর আহত অবস্থায় কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন রুবির আরেক মেয়ে রুমা আক্তার (৩০)।