সিলেট সদর উপজেলার কুমারগাঁও মৌজায় পৃথক দু’টি টিলা কাটার ঘটনায় পরিবেশ অধিদফতর ও পুলিশ বাদী হয়ে মোট তিনটি মামলা দায়ের করেছে।
পরিবেশ অধিদফতরের দায়ের করা দু’টি মামলায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ১০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) পরিবেশ অধিদফতরের সিলেট জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক মামুনুর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সোমবার সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের জালালাবাদ থানায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ছয় থেকে সাতজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। এছাড়া রোববার এয়ারপোর্ট থানায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়।
পরিদর্শক মামুনুর রশিদ জানান, ব্যক্তিমালিকানাধীন টিলা কাটার অভিযোগে জালালাবাদ থানায় দায়ের করা মামলায় প্রধান আসামি সিলেট নগরের হাওয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা মালিক উজ্জামান।
অন্য আসামিরা হলেন- তারাপুর চা-বাগানের স্টার টি স্টেটের ব্যবস্থাপক রিংকু চক্রবর্তী, মোহাম্মাদীয়া এলাকার জাবেদ, হালেদ, জাহাঙ্গীর চেয়ারম্যান, দুসকি এলাকার আমির হামজা, সেলিম, বিল্লাল, কয়েছ আহমেদ, জুবায়ের আহমেদ ও রাজু আহমেদ।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গোপন অভিযোগের ভিত্তিতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ আলীম উল্লাহ খানের নেতৃত্বে সরেজমিন পরিদর্শনে টিলা কাটার প্রমাণ পাওয়া যায়। অনুমতি ছাড়া আনুমানিক ২৩৫ ফুট দৈর্ঘ্য, ১১৫ ফুট প্রস্থ, ৪৩ ফুট উচ্চতা এবং ১১ লাখ ৬২ হাজার ৭৫ ঘনফুট টিলা কেটে মাটি অপসারণ করা হয়েছে, যা পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০)-এর ধারা ৬ (খ) অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এদিকে, এয়ারপোর্ট থানায় দায়ের করা মামলায় আসামিরা হলেন- সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ নিবাসী আশফাক আহমেদ (৪৩), বিশ্বনাথ থানার মিরের চক গ্রামের আব্দুল হক (৫৭), মোগলগাঁও লামাপাড়ার আলাউদ্দিন হাসু (৫১), কোম্পানীগঞ্জের সুহেল আহমদ (৩৩) এবং বড়গুল গ্রামের সিদ্দিক আলী (৪৫)।
মামলার এজাহারে বলা হয়, কুমারগাঁও মৌজার রেকর্ডীয় টিলা ভূমি থেকে মাটি কর্তন ও অপসারণ করায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, জেলা প্রশাসনের সীমান্ত শাখা থেকে জারি করা এক সরকারি আদেশে বলা হয়েছে, সিলেটে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন উপেক্ষা করে টিলা কাটলেই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।