বিএনপি নেতা, সাবেক স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ও মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মিজানুর রহমান সিনহা বলেছেন, ‘মুন্সীগঞ্জ-২ আসনে দল আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। লৌহজং-টঙ্গিবাড়ী জনগণকে সামনে নিয়ে এ নির্বাচনটা করবো ইনশাল্লাহ। মুন্সীগঞ্জের রাজনীতি ধানের শীষের রাজনীতি, এটা আজকের নয়। অতীতেও আমরা কোনোদিন এ আসন হারাই নাই। আগামীতেও এই ধারা ধরে রাখবো ইনশাল্লাহ। তবে অদৃষ্টে যা লেখা আছে তা হবেই। অদৃষ্টের লেখার কোনো ব্যতিক্রম হয় না।‘
রোববার (৯ নভেম্বর) লৌহজং ও টঙ্গিবাড়ী উপজেলার বিএনপির ও অঙ্গসংগঠন আয়োজিত জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে মুন্সীগঞ্জ- ২ আসনে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত বর্ণাঢ্য র্যালি ও শোভাযাত্রা শেষে স্থানীয় সাংবাদিকদের আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরো বলেন, সবাই এ আসনে আমার সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে সাড়া দিতেছে। আমি আশা করি আমার এখানে কোন বিরোধিতা নেই। যারা বিরোধিতা করেছে তারা এখন এক হয়ে গেছে। যদি থেকে থাকে তা ধানের শীষের পক্ষের শক্তি হবে না। সেটা তার নিজস্ব শক্তি। তবে নিজস্ব শক্তি ধানের শীষের চেয়ে বেশি নয়।
বিএনপি এই নেতা বলেন, মুন্সীগঞ্জের একটা পরিবর্তন হওয়া উচিত। ব্যবসা উপলক্ষে অনেক জেলায় আমার ভ্রমণ করা হয়। এখানে আসলে আমার অনেক কষ্ট হয়। এ জেলায় অনেক কিছুর অভাব রয়েছে। আমার মনে এ জেলার উন্নয়নের মাধ্যমে পরিবর্তন করার বড় ইচ্ছা আছে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও লৌহজং উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান অপু চাকলাদার, টঙ্গিবাড়ী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমীর হোসেন দোলনসহ উপজেলা বিএনপি ও ইউনিয়ন বিএনপি ও মহিলা দল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এর আগে রোববার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে লৌহজং ও টঙ্গিবাড়ী উপজেলার বিএনপির ও অঙ্গসংগঠন আয়োজিত বর্ণাঢ্য র্যালিতে অংশ নেয় দুই উপজেলার বিএনপির বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।
র্যালিটি লৌহজং উপজেলার মাওয়া চৌরাস্তা থেকে উপজেলা বিএনপির কার্যালয়সহ উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে টঙ্গিবাড়ী উপজেলার শিশু পার্ক এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।
এ সময় কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি নেতা, সাবেক স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ও মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মিজানুর রহমান সিনহা। কর্মসূচি শেষে টঙ্গিবাড়ী উপজেলা বিএনপি আয়োজিত এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন তিনি।
এ সময় মিজানুর রহমান সিনহা বলেন, আওয়ামী শাসনামলে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করতে পারেনি দলটি। এবার দিবসটি উপলক্ষে ১০ দিনব্যাপী সারাদেশে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা করেছে। বিগত সময় বিএনপি সরকারের আমলে এই দিনটিতে সরকারি ছুটি ছিলো।



