বাগেরহাটে ৪ জনের বিরুদ্ধে ২৩৫ কোটি টাকার মানিলন্ডারিং মামলা

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রবিউল ইসলাম, বাগেরহাট

Location :

Bagerhat
বাগেরহাট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সাবেক উমেদার আব্দুল মান্নান তালুকদার
বাগেরহাট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সাবেক উমেদার আব্দুল মান্নান তালুকদার |সংগৃহীত

বাগেরহাট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সাবেক উমেদার আব্দুল মান্নান তালুকদারসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২৩৫ কোটি টাকার মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে মামলা করেছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন মো: আনিসুর রহমান (৬২), সালেহা বেগম ও জেসমিন নাহার। এর মধ্যে জেসমিন নাহার প্রধান অভিযুক্ত আব্দুল মান্নান তালুকদারের স্ত্রী।

সিআইডির তদন্তে জানা যায়, নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে উচ্চ মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে ১৯ হাজার ৯৬৭ জন বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে প্রায় ২৪৫ কোটি ২৩ লাখ ৩৩ হাজার টাকা সংগ্রহ করা হয়। আব্দুল মান্নান তালুকদার সংগৃহীত অর্থের মধ্যে ৬৬ কোটি ২ লাখ ৬৭ হাজার টাকা নিজের মালিকানাধীন সাবিল গ্রুপের ছয়টি সহযোগী প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করেন। বাকি অর্থ বিভিন্ন নামে-বেনামে অন্য প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তর করেন।

সহযোগী ছয় প্রতিষ্ঠান হলো এ্যাজাক্স জুট মিলস লিমিটেড, সাবিল ড্রেজিং অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড (বাগেরহাট), সাবিল জেনারেল হাসপাতাল (পিরোজপুর), সাবিল কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প (বাগেরহাট), সাবিল ল প্লাজা ও সাবিল মৎস্য প্রকল্প (বাগেরহাট)।

সিআইডি জানায়, চাকরিজীবী থাকা অবস্থায় জমি কেনা-বেচার সাথে যুক্ত ছিলেন মান্নান তালুকদার। ২০১০ সালে অবসর গ্রহণের পর রিয়েল এস্টেট ব্যবসা শুরু করেন তিনি। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি জয়েন্ট স্টক কোম্পানিতে নিবন্ধিত হলেও ব্যবসার কার্যক্রম ছিল ব্যক্তিকেন্দ্রিক। প্রতিষ্ঠানটি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ‘সুদমুক্ত ও হালাল ব্যবসায় লাভের নিশ্চয়তা’ দিয়ে প্রচারণা চালাতো। প্রচারণায় বলা হতো, চার-পাঁচ বছরের মধ্যে বিনিয়োগকৃত অর্থ দ্বিগুণ হবে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে নেয়া অর্থ অন্য প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তর করে।

সিআইডি আরো জানায়, মানিলন্ডারিংয়ের সত্যতা পাওয়ায় আব্দুল মান্নান তালুকদারসহ চারজনের বিরুদ্ধে বাগেরহাট সদর থানায় মামলা দায়ের করে সিআইডি।

বাগেরহাট সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহমুদ উল হাসান বৃহস্পতিবার বলেন, ‘সিআইডির দায়ের করা মামলাটি গতরাতে ৮ নম্বর মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে।‘