শাকসু নির্বাচন এগিয়ে আনার দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

সমাবেশে শিক্ষার্থীরা জানান, ১৭ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত তারা মানবেন না। এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না হলে ভিসি ও প্রো-ভিসির পদত্যাগের আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারিও দেন তারা। পাশাপাশি তারা শীতকালীন ছুটি বাতিলের দাবি তোলেন।

Location :

Sylhet
শাকসু নির্বাচন এগিয়ে আনার দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা
শাকসু নির্বাচন এগিয়ে আনার দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা |নয়া দিগন্ত

শাবিপ্রবি প্রতিনিধি

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (শাকসু) নির্বাচন ১০ ডিসেম্বর এগিয়ে আনার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে 'শিক্ষার্থীবৃন্দ, শাবিপ্রবি' ব্যানারে তারা ক্যাম্পাসে সমাবেশ ও মিছিল করেন।

সমাবেশে শিক্ষার্থীরা জানান, ১৭ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত তারা মানবেন না। এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না হলে ভিসি ও প্রো-ভিসির পদত্যাগের আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারিও দেন তারা। পাশাপাশি তারা শীতকালীন ছুটি বাতিলের দাবি তোলেন।

দুপুরে পৌনে ২টার দিকে শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে জড়ো হয়ে মিছিল শুরু করেন। মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার গ্রন্থাগারের সামনে এসে শেষ হয়। এরপর সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তারা।

বিক্ষোভে শিক্ষার্থীরা 'শীতকালীন ছুটি পেছানো মানি না', '১০ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চাই', 'প্রশাসনের হঠকারী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার কর'—এ ধরনের স্লোগান দেন।

সমাবেশে বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শাবিপ্রবি আহ্বায়ক পলাশ বখতিয়ার, ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার অফিস সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম, মানবসম্পদ সম্পাদক শাকিল মাহমুদ, ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী দেলোয়ার হাসান (শিশির), পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের মুমিনুর রশীদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক ফয়সাল হোসেন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক আজাদ শিকদার, ইসলামী ছাত্রীসংস্থার সভানেত্রী আমিনা বেগম, কেমিকৌশল ও পলিমার বিজ্ঞান বিভাগের রাশীদ আবরার, অর্থনীতি বিভাগের কামরুজ্জামান, আবরার বিন সেলিম প্রমুখ।

বিক্ষোভের কয়েক ঘণ্টা পরই শীতকালীন ছুটির বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্ত জানায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ১৪ নভেম্বর ছুটি পরিবর্তনের যে বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছিল, তা বাতিল করে আগের একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ছুটি বহাল রাখা হয়েছে।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে রেজিস্ট্রার সৈয়দ ছলিম মোহাম্মদ আব্দুল কাদির স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।