বঙ্গোপসাগরে ধরা পড়েছে ৩৪ কেজির ভোল মাছ, সাড়ে ৯ লাখ টাকায় বিক্রি

মাছটি আড়তে বিক্রির জন্য ডাক দিলে হানিফ মিয়া ১২ লাখ ১০ হাজার টাকা মণ দরে ৯ লাখ ৫৬ হাজার টাকায় কিনে নেন। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে মাছটি দেখতে...

পাথরঘাটা (বরগুনা) সংবাদদাতা
বঙ্গোপসাগরে ধরা পড়েছে ৩৪ কেজির ভোল মাছ
বঙ্গোপসাগরে ধরা পড়েছে ৩৪ কেজির ভোল মাছ |নয়া দিগন্ত

বঙ্গোপসাগরের গভীরে বরগুনা পাথরঘাটার জেলেদের জালে ধরা পড়েছে ৩৪ কেজি ওজনের একটি ভোল মাছ। বৃহৎ আকারের এ মাছটি বিক্রি হয়েছে ৯ লাখ ৫৬ হাজার টাকায়। বিদেশে এ মাছ দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ তৈরির পাশাপাশি এর উপকরণ থেকে সার্জিক্যাল অপারেশনের সুতা ও প্রসাধনী বানানো হয়। ফলে দেশের বাইরে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে মাছটির।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সকালে দেশের বৃহত্তম মাছের অবতরণ কেন্দ্র পাথরঘাটা বিএফডিসি মৎস্য ঘাটে বিক্রির জন্য নিয়ে এলে পাইকার মোহাম্মদ হানিফ মিয়া মাছটি কিনে নেন।

এর আগে সোমবার পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবিরের মালিকানাধীন এফবি সাইফ-২ ট্রলারের জালে ধরা পড়ে মাছটি।

এফবি সাইফ-২ ট্রলারের মাঝি জামাল হোসেন বলেন, ‘গত ২০ মার্চ পাথরঘাটা থেকে বঙ্গোপসাগরের গভীরে মাছ শিকারে বের হই। বঙ্গোপসাগরে প্রথমে জাল ফেলে অপেক্ষার পরে জাল তুললে তেমন কোনো মাছ পাইনি। পরে আবারো জাল ফেললে বড় আকৃতির এ ভোল মাছটি ধরা পড়ে। এত বড় এবং দামি মাছ পেয়ে সাথে সাথে আমরা ঘাটে চলে আসি।’

আড়তদার আলম মিয়া বলেন, ‘সকালে মাছের অবতরণ কেন্দ্রে এসেই দেখি বড় একটি ভোল মাছ আমার চটে উঠছে। মাছটি আড়তে বিক্রির জন্য ডাক দিলে হানিফ মিয়া ১২ লাখ ১০ হাজার টাকা মণ দরে ৯ লাখ ৫৬ হাজার টাকায় কিনে নেন। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে মাছটি দেখতে ভিড় জমান স্থানীয়রা।’

মাছের ক্রেতা হানিফ মিয়া বলেন, ‘মাছটি সাড়ে ৯ লাখ টাকায় কিনেছি। তবে চট্টগ্রামে চালান দিলে মাছটি অনেক বেশি দামে বিক্রি করতে পারবো।’

বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ‘ভোল মাছ সচরাচর দেখা যায় না। এ মাছ বিদেশে রফতানি হয়ে থাকে। বিশেষ করে বিদেশে এ মাছের বালিশের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। যার কারণে মাছটির দাম ও চাহিদা খুব বেশি। এছাড়া বিদেশে এ মাছের উপকরণ দিয়ে সার্জিক্যাল অপারেশনের সুতা, প্রসাধনী ও ওষুধ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এ মাছের চাহিদা ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, হংকং, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়াসহ অনেক দেশেই রয়েছে।’

পাথরঘাটা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা হাসিবুল হক বলেন, ‘ভোল মাছ বিদেশে ওষুধ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। তাই মাছটির দাম সব সময়ই বেশি।’