বরিশালে মুলাদী সরকারি কলেজের শিবিরের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের নিয়ে ‘ক্যারিয়ার গাইডলাইন ও এক শিক্ষার্থী এক কোরআন ২০২৫’ প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে এ উপলক্ষে শহীদ আলতাফ মাহমুদ অডিটোরিয়ামে শিক্ষার্থীদের মাঝে অর্থসহ পাঁচ শ’ পবিত্র কোরআন ও বই বিতরণ করা হয়।
মুলাদী উপজেলা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো: হামিম হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল মহানগরীর জামায়াতের আমির ও বরিশাল-৩ (মুলাদী-বাবুগঞ্জ) আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা জহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবর।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আজ দেশের যুবসমাজ মাদকের ছোবলে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। যুবসমাজ ধ্বংস হলে একটি দেশ এমনিতেই ধ্বংস হয়ে যাবে। কিন্তু ছাত্রশিবির সেই যুবসমাজকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচিয়ে ন্যায় ও আদর্শবান হিসেবে গড়ে তুলতে প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের সুশিক্ষিত, আদর্শবান ও দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে এ ধরনের উদ্যোগ নিঃসন্দেহে অত্যন্ত কার্যকর।’
তিনি আরো বলেন, ‘দেশকে এগিয়ে নিতে হলে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করা জরুরি। প্রত্যেকে নিজের অবস্থান থেকে উৎকর্ষ অর্জনের লক্ষ্য নিয়েই এগোতে হবে। তাই এই আয়োজনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের অনুবাদসহ কোরআন বিতরণ করা হলো যা পড়ে আল্লাহর বাণী সম্পর্কে গভীর জ্ঞান অর্জন করবে, যা তাদের সঠিক পথে পরিচালিত করবে।’
উপজেলা শিবিরের সেক্রেটারি আবদুল্লাহ ইসলাম সৌরভের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন শিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সদস্য ও বরিশাল মহানগর সভাপতি মো: নাঈম হাসান, শিবিরের বরিশাল জেলা সভাপতি মো: আকবর হোসেন, বরিশাল জেলা অর্থ সম্পাদক মো: আরিফুল ইসলাম, বরিশাল শেরে বাংলা কলেজের সাবেক সভাপতি ইসমাইল সরদার, বরিশাল বিদ্যালয়ের শিবিরের সভাপতি মো: আমিনুল ইসলাম ও উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আবু সালেহ।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জুলাই যোদ্ধা শহীদ মো: জাহিদ হোসেনের বাবা, মুলাদী ইসলামীয়া ফাজিল মাদরাসার সভাপতি মো: ইব্রাহীম খান ও মুলাদী সরকারি কলেজের শিবিরের সভাপতি মো: আহনাফ রহমান সামত ভূঁইয়া প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, জীবনে অভিজ্ঞতার বিকল্প নেই। তোমরা স্কুল জীবন শেষ করে কলেজে ভর্তি হয়েছো। এখন প্রয়োজন নিজেকে এমনভাবে গড়ে তোলা, যাতে কথা বলার দক্ষতা, সমস্যা সমাধানের দক্ষতা, নেতৃত্ব দেয়ার সক্ষমতা এসব গুণ স্বাভাবিকভাবে তৈরি হয়।
তারা আরো বলেন, কোরআনের শিক্ষা সমাজকে নৈতিকতার আলোকে আলোকিত করে এবং আদর্শবান প্রজন্ম তৈরি করে। একজন শিক্ষার্থীর হাতে কোরআন তুলে দেয়া মানে তার সামনে সত্য, ন্যায় ও নৈতিকতার আলোকবর্তিকা তুলে দেয়া। কোরআন মানবতার মুক্তির দিকনির্দেশনা দেয়। শিক্ষার্থীদের জীবনে আদর্শ ও নৈতিকতার আলো ছড়িয়ে দিতে কোরআনের শিক্ষা অপরিহার্য।
ক্বারী তরিকুল ইসলামের কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে বেলা ১১টায় অনুষ্ঠান শুরু হয়। পরে অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষার্থীদের মাঝে অর্থসহ কোরআন ও বই বিতরণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ করা হয়।



