সৈকত ও মেরিন ড্রাইভে ভাঙনের শঙ্কা

কুতুবদিয়ার মহেশখালীতে লোকালয়ে জোয়ারের পানি

কুতুবদিয়া, মহেশখালী দ্বীপসহ উপকূলীয় এলাকায় বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে লোকালয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশ করেছে।

গোলাম আজম খান, কক্সবাজার অফিস
কুতুবদিয়ায় জোয়ারের পানি প্রবেশ করেছে
কুতুবদিয়ায় জোয়ারের পানি প্রবেশ করেছে |নয়া দিগন্ত

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে কক্সবাজারে সাগর উত্তাল রয়েছে। গত দু’দিন ধরে কক্সবাজারে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। এতে লোকালয়ে আসছে জোয়ারের পানি। সৈকত ও মেরিন ড্রাইভে ভাঙনের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

শনিবার (২৬ জুলাই) দেখা গেছে নিম্নচাপের প্রভাব এবং অমাবস্যার কারণে সাগরের জোয়ারের পানি দুই থেকে তিন ফুট উচ্চতায় বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে কুতুবদিয়া, মহেশখালী দ্বীপসহ উপকূলীয় এলাকায় বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে লোকালয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশ করেছে।

এ সময় পানিতে তলিয়ে গেছে কুতুবদিয়ার আলী আকবর ডেইলের আনিসের ডেইল, তাবলর চর ও কাহারপাড়া, সাইটপাড়া ও বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আশপাশের অর্ধশত ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, পুকুর জলাশয়সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। এছাড়া মহেশখালীর ধলঘাটা ও মাতারবাড়ির নিম্নাঞ্চলও প্লাবিত হয়েছে।

কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ক্যাথোয়াই প্রু মারমা জানিয়েছেন, নিম্নচাপের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি প্লাবিত হয়েছে আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি এলাকা। ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি জোয়ারের পানি প্রবেশ করেছে।

জানা গেছে, ইতোমধ্যে কয়েকটি ভাঙনে মেরামতের কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু, যেসব অংশ এখনো মেরামত সম্ভব হয়নি সেসব পয়েন্ট দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকেছে। প্লাবিত এলাকার মানুষগুলোর জন্য আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে বলা হয়েছে।

এদিকে সাগরের ঢেউয়ের তোড়ে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের কিছু কিছু এলাকায় ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। মেরিন ড্রাইভ রোডের টেকনাফ অংশের কয়েকটি পয়েন্টে আবারো ভাঙনের শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন জানিয়েছেন, কুতুবদিয়াসহ কয়েকটি এলাকায় জোয়ারের পানি প্রবেশ করে বাড়ি ঘর প্লাবিত হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি কথা জানিয়েছেন তিনি।

কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকদের গোসলে সতর্কতা জারি এবং হাঁটু পানির নীচে নামতে নিষেধ করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ ও লাইফ গার্ড কর্মীরা।

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, নিম্নচাপটি উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় অবস্থান করছে।

এদিকে সাগর উত্তাল থাকায় ইতোমধ্যে গভীর সাগরে থাকা মাছ ধরার ট্রলারগুলো কূলে ফিরে এসেছে বলে জানা গেছে।

এদিকে নিম্নচাপের কারণে দমকা হাওয়া ও ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় এক থেকে ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। তাই, এসব এলাকাকে স্থানীয় তিন নাম্বার সতর্ক সঙ্কেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।