কুষ্টিয়া ৩ (সদর) আসনের জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন মুফতি আমীর হামজার নির্বাচনী প্রচার হিসেবে মোটরসাইকেল র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিকে র্যালির অগ্রভাগে মুফতি আমীর হামজা খোলা জিপে হাত নাড়িয়ে সড়কের দু’পাশের শত শত জনগণকে শুভেচ্ছা জানান। এ সময় প্রতিত্তরে জনগণ তাকে হাত নেড়ে সমর্থন জানাতে দেখা যায়।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে কুষ্টিয়া শহরের লাহিনী মেডিক্যাল কলেজ ক্যাম্পাস এলাকা থেকে র্যালিটি শুরু হয়।
মোটরসাইকেল র্যালিটি চৌড়হাস মোড় হয়ে মজমপুর গেট, বারখাদা ত্রিমোহিনী হয়ে বাইপাস দিয়ে বটতৈল মোড় হয়ে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের ২০ কিলোমিটার দূরে লক্ষীপুর বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছে। পরে সেখান থেকে আব্দালপুর হয়ে ঝাউদিয়া মসজিদে আসর নামাজ আদায় করেন জামায়াতের এ নেতা।
সেখানে তিনি সাংবাদিকদের সাথে দলের নির্বাচনী ভাবনা নিয়ে কথা বলেন। পরে পাটিকাবাড়ি, আইলচারা ও খাজানগর হয়ে র্যালিটি কুষ্টিয়া শহর অভিমুখে ফিরে আসে।
শোভাযাত্রায় জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক মাওলান আবুল হাশিম, সেক্রেটারি অধ্যাপক সুজাউদ্দিন জোয়ার্দার, সহকারী সেক্রেটারি এনামুল হকসহ জেলা, শহর ও উপজেলা পর্যায়ের সকল দায়িত্বশীল অংশ নেন।
মুফতি আমির হামজার এ র্যালিতে প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসসহ ৫ হাজারের বেশি মোটরসাইকেল অংশ নেয়। প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কুষ্টিয়ার ইতিহাসে সর্ববৃহৎ এবং সুশৃঙ্খল এ র্যালিটি জেলাবাসীকে আকৃষ্ট করেছে।
মুফতি আমীর হামজা সাংবাদিকদের বলেন, ‘জামায়াতের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে আমাকে কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের জন্য আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনিত করার পর থেকে আমি নিয়মিত নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় সময় দিয়ে আসছি। জামায়াতের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা পাচ্ছি। ইতোমধ্যে এ আসনের সব স্থানে নির্বাচনী ক্যাম্পিং শেষ করেছি।’
তিনি জানান, ‘নির্বাচনী প্রচারণায় নেমে সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি। মানুষ আমাকে এবং আমার দলকে ভালোবাসে তারই নিদর্শন আমি দেখতে পেয়েছি। মানুষ নেতৃত্বের পরিবর্তন চাই। আগামীতে বাংলাদেশকে ইসলামী রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায়। মানুষ ইতোপূর্বে যাদের ভোট দিয়ে জাতীয় সংসদে পাঠিয়েছিল তারা দেশ ও জাতির সাথে বেইমানি করেছিল।
তিনি আরো জানান, ‘দেশের সম্পদ জনগণের মাঝে বণ্টন না করে নিজেরা কুক্ষিগত করেছিল। মানুষ এখন কোরআনের শাসন ও সৎ লোকের নেতৃত্ব চাই। তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারাদেশে জামায়াতের প্রার্থীদের দিকে দেশবাসীর নজর। জামায়াতের প্রার্থীরা নির্বাচিত হলে রাষ্ট্রীয় সম্পদের সুষম বণ্টন হবে। সকল প্রকারের বৈষম্য দূর হয়ে সাম্য ও ভাতৃত্ববোধের একটি শান্তিকামী বাংলাদেশ দেখতে পাবে।’



