বিশিষ্ট সাংবাদিক ও আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক ড. ইমরান আনসারী বলেছেন, ‘একজন জীবিত হাদির চেয়ে একজন শহীদ হাদি কয়েক গুণ বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। কিছুদিন আগেও হাদি একাই আধিপত্যবাদ ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলছিলেন কিন্তু আজ তার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সারাদেশের মানুষ সেই আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে উত্তাল হয়ে উঠেছে।’
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে বুড়িচং প্রেস ক্লাবের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. ইমরান আনসারী বলেন, ‘জাতীয় পর্যায়ের তুলনায় স্থানীয় পর্যায়ে সাংবাদিকরা অনেক বেশি ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন। তারা খুব সামান্য সম্মানী পান, অনেক ক্ষেত্রে পান না। অথচ তারাই সবচেয়ে বেশি অবহেলার শিকার। একটি শক্তিশালী নাগরিক সমাজ গঠনে সাংবাদিকদের ভূমিকা অপরিসীম। সাংবাদিকদের দায়িত্ব হচ্ছে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা, সত্য তুলে ধরা ও সমাজ বিনির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা রাখা।’
তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যম ও গণতন্ত্র রেললাইনের মতো—দুটো একসাথে চললেই রাষ্ট্র সঠিক পথে এগোয়। যেকোনো একটি দুর্বল হলে রাষ্ট্র অনিবার্যভাবে সঙ্কটে পড়ে। কিছু ক্ষেত্রে সংবাদ পরিবেশনে তথ্যের ঘাটতি থাকায় সমাজে বিভ্রান্তি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। এ জন্য সাংবাদিকদের আরো দায়িত্বশীল, সচেতন ও পেশাদার হওয়ার আহ্বান জানাই।’
একইসাথে তিনি সাংবাদিকদের সব সময় দুর্বল ও মজলুম মানুষের পক্ষে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
আলোচনায় তিনি সাংবাদিক হাদির হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি করেন।
উল্লেখ্য, ড. ইমরান আনসারী দীর্ঘ ১৩ বছর যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেছেন। সেখানে তিনি ফ্যাসিবাদ ও দমনমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থার চরিত্র নিয়ে একাধিক প্রবন্ধ ও গ্রন্থ রচনা করেন। সম্প্রতি দেশে ফিরে তিনি গণতন্ত্র ও স্বাধীন সাংবাদিকতার পক্ষে আবারো সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন।
বুড়িচং প্রেস ক্লাবের সভাপতি কাজী খোরশেদ আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক বাবুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সহ-সভাপতি গাজী জাহাঙ্গীর আলম জাবির, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আক্কাস আল মাহমুদ হৃদয়, প্রচার সম্পাদক মো: শরিফুল ইসলাম সুমন, দফতর সম্পাদক মো: সাফি, তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আবদুল্লাহ, আপ্যায়ন ও ক্রীড়া সম্পাদক মো: ফয়েজ, বিজ্ঞান, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক আলমগীর হোসেন বাচ্চু মোল্লা এবং সদস্য মো: তাজুল ইসলাম, মো: কিবরিয়া ও পিয়াস।