কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে জেসমিন আক্তার (৩০) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) সকালে উপজেলার বড়খারচর গ্রামের মো: জাকির হোসেনের বাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত জেসমিন আক্তার কুলিয়ারচর উপজেলার বড়খারচর গ্রামের জাকির হোসেনের স্ত্রী। তিনি দুই ছেলে সন্তানের জননী ও তার বাবার বাড়ি পাশের বাজিতপুর উপজেলার কৈলাগ গ্রামে। এছাড়া তিনি স্বামীর সাথে কুলিয়ারচর সদরের একটি সিগারেট ফ্যাক্টরিতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।
জানা যায়, গত ২১ আগস্ট বৃহস্পতিবার থেকেই তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। একইসাথে তার মোবাইলফোনও বন্ধ ছিল। পরে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও কোনো সন্ধান মেলেনি তার। এদিকে সকালে রান্নার জন্য লাকড়ির ঘরে ঢুকলে ঘরের ধরনার মধ্যে গলায় ওড়ানা প্যাঁচানো জেসমিন আক্তারের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান শাশুড়ি। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এদিকে নিহতের বাবার বাড়ির লোকজন জানান, ‘জেসমিনের স্বামী জাকির হোসেন প্রায়ই নেশার জন্য জেসমিন আক্তারের কাছে টাকা চাইতো এবং টাকা না দিলে মারধর করতো। জেসমিন আত্মহত্যা করেনি; তাকে খুন করে রান্নার ঘরে ঝুলিয়ে রাখতে পারে!’
কুলিয়ারচর থানার তদন্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোকন চন্দ্র সরকার বলেন, এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা এখনো বলা যাচ্ছে না। সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে একটি অপমৃত্যুর মামলা রুজু করেছি। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি কিশোরগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।