চট্টগ্রামের (র্যাব) এএসপি পলাশ সাহার মরদেহ তার কর্মস্থল থেকে বাড়িতে আনা হয়েছে। সেখানে চলছে শোকের মাতম।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) সকালে তার মরদেহ বাড়িতে আনা হয়।
পলাশ সাহা গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলার তারাশী গ্রামের মৃত বিনয় কৃষ্ণ সাহার ছেলে।
এর আগে বুধবার চট্টগ্রাম র্যাব কার্যালয়ে নিজ অফিস থেকে পলাশ সাহার লাশ উদ্ধার করা হয়। মৃত পলাশ সাহার লাশের পাশ থেকে একটি চিরকুট পাওয়া যায়। তিনি র্যাব -৭ এ কর্মরত ছিলেন।
চট্টগ্রাম র্যাব কার্যালয়ের এএসপি পলাশ সাহার আত্মহত্যার কারণ জানিয়ে তার মেঝ ভাই নন্দ লাল সাহা বলেন, ‘দুইবছর আগে ফরিদপুরে চৌধুরীপাড়ায় পলাশের বিবাহ হয়। বিয়ের ৬/৭মাস পর থেকেই পরিবারে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো। প্রতিদিন কিছু না কিছু নিয়ে পলাশের স্ত্রী সুস্মিতা সাহা পরিবারে ঝামেলা করতো। আমার মা আরতি সাহা পলাশের সাথে চট্টগ্রামে থাকতো এটা পলাশের স্ত্রী মেনে নিতে পারতো না। সে সব সময় মাকে গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়ার জন্য পলাশকে চাপ প্রয়োগ করতো। পলাশ কিছুইতেই মাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিতে চাইতো না। সে মা ও তার স্ত্রী দু’জনকেই ভালোবাসতো।’
তিনি আরো বলেন, ‘গতকাল বুধবার সকালে সামান্য বিষয় নিয়ে আমার মা আরতি সাহা ও ভাই পলাশ সাহার গায়ে হাত তোলে সুস্মিতা সাহা। এটা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেনি আমার ভাই। আর এ কারণেই আমার ভাই পলাশ সাহা আত্মহত্যা করেছে বলে আমাদের ধারণা।’
আজ বৃহস্পতিবার পারকোনা সার্বজনীন শ্মশান ঘাটে র্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ উপস্থিত থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে গার্ড অব অনার প্রদান করে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে পলাশ সাহার বোন রমা সাহা বলেন, ‘আমার মা তার কাছে থাকে এটা তার স্ত্রী সুস্মিতা সাহা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেননি। তাই প্রায়-ই পলাশের সাথে তার স্ত্রীর ঝগড়াঝাটি লেগেই থাকতো, গতকাল পলাশের স্ত্রী সুস্মিতা সাহা ঝগড়া করে আমার মা ও ভাগ্নির গায়ে হাত তুলে এবং আমার মাকে দেশের বাড়িতে পাঠিয়ে দিতে বলে। আমার ভাই এ অপমান সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করছি।’
তিনি বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে সঠিক তথ্য তুলে এনে প্রকৃত দোষীকে বিশেষ করে আমার ভাইয়ের স্ত্রী সুস্মিতা সাহার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।