তাড়াশে ৪ হাজার কেজি ভিজিএফ’র চাল জব্দ

নওগাঁ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মজনু বলেন, ‘জরুরি কাজে ঢাকার আছি। চাল বিতরণের দায়িত্ব সচিব ও ইউপি সদস্যদের।

তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতা
তাড়াশে ৪ হাজার কেজি ভিজিএফ’র চাল জব্দ
তাড়াশে ৪ হাজার কেজি ভিজিএফ’র চাল জব্দ |নয়া দিগন্ত

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের অসহায় ও হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দ ঈদুল ফিতরের উপহার (ভিজিএফ) চাল বিতরণে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। দায়িত্বরতরা কালোবাজারির কাছে চাল কার্ড বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। পরে চার হাজার কেজি চাল জব্দ করেছে কর্তৃপক্ষ।

নওগাঁ ইউনিয়ন ভিজিএফরএর চাল বিতরণের ট্যাগ অফিসার ও উপজেলা সহকারী প্রাথমিক কর্মকর্তা মো: আশরাফ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘বিতরণ অনিয়মের অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে ৫০ কেজি ওজনের ৮৩টি বস্তা চাল জব্দ করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে চাল বিতরণ চলছিল। দুপুরের পর থেকে দুস্থ-হতদরিদ্রদের বদলে কালোবাজারি চাল নিতে এলে স্থানীয় এলাকাবাসীর বাধায় চাল বিতরণ বন্ধ হয়ে যায়। ওই সময় ইউপি সদস্যরা চম্পট দিয়ে পালিয়ে যান।

পরে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, চেয়ারম্যানের সাথে যোগসাজশে ইউপি সদস্য পাঁচ শ’ কার্ড কালোবাজারিদের কাছে বিক্রি করেছেন।

জানা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে সারাদেশে ১০ কেজি করে বিনামূল্যে ভিজিএফ চাল বিতরণের কথা ছিল। সে অনুযায়ী নওগাঁ ইউনিয়নে দুই হাজার ৩৫৩ জন ১০ কেজি করে চাল পাওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে তার কম বিতরণ করা হয়েছে।

নওগাঁ ইউনিয়ন জামাতের সভাপতি ফজলুল রহমান জানান, ‘মাস্টাররোল ছাড়াই ইচ্ছেমতো চেয়ারম্যান, সচিব ও মেম্বাররা চাল বিতরণ করছিল। বেশ কিছু চাল কালোবাজারিদের কাছে বিক্রি করতে চেয়েছিলেন। পরে জামায়াতের লোকজনের বাধার মুখে তা ভণ্ডুল হয়।

‘দুস্থ ও অসহায়দের জন্য চাল বরাদ্দে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়ম হয়েছে,’ বলে জানিয়েছেন উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি জয়নুল আবেদীন মাহবুব।

নওগাঁ ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আলাউদ্দিন হোসেন জানান, ‘চেয়ারম্যান ও ইউপি সদসরা তালিকা তৈরি করছেন। সেই মোতাবেক বিতরণ চলছিল। স্থানীয় এলাকাবাসীর বাধায় চাল বিতরণ বন্ধ করে দিয়েছে।’

এ বিষয়ে নওগাঁ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মজনু বলেন, ‘জরুরি কাজে ঢাকার আছি। চাল বিতরণের দায়িত্ব সচিব ও ইউপি সদস্যদের।