মুন্সিগঞ্জ শহরে তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে শিক্ষককে গণপিটুনি দিয়েছে জনতা। পরে পুলিশ শিক্ষক রোমান মিয়াকে (৩৩) উদ্ধার করে। ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা সদর থানায় মামলা রুজু করলে পুলিশ ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায়।
রোববার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে শহরের উত্তর ইসলামপুর এলাকার পিটিআই পরীক্ষণ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে বিদ্যালয়ের ওয়াশরুমে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা ঘটে বলে মামলার এজাহারে অভিযোগ আনা হয়েছে।
মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম সাইফুল আলম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক রোমান মিয়ার বাড়ি হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার বৌ-বাড়ি গ্রামে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, সাপ্তাহিক ছুটির আগের দিন বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে বিদ্যালয়ের ওয়াশরুমে ওই ছাত্রীকে ডেকে নেয় শিক্ষক রোমান মিয়া। এ সময় ছাত্রীর জামা-কাপড় খুলে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। পরে সে আর্তচিৎকার করে পালিয়ে আসে। পরবর্তী সময়ে ওই ছাত্রী নিজ বাড়িতে ফিরে তার মাকে ঘটনাটি জানালে ওইদিনই তার বাবা বিদ্যালয়ে এসে পিটিআই পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের সুপারিনটেনডেন্ট আমিনুল ইসলামকে ঘটনাটি জানান। তবে সুপারিনটেনডেন্ট কোনো পদক্ষেপ নেননি।
তবে বিদ্যালয়ের সুপারিনটেনডেন্ট মো: আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমি বৃহস্পতিবারই ঘটনা জেনে ছাত্রীর পরিবারকে রোববার বিদ্যালয়ে আসার জন্য বলেছিলাম। এ সময় এলাকাবাসী এসে শিক্ষককে শনাক্ত করে বাইরে নিয়ে মারধর করে।‘
সদর থানার ওসি জানান, রোববার সকালে ছাত্রীর পরিবারসহ এলাকার জনগণ বিদ্যালয়ে ছুটে এসে ওই শিক্ষককে বেধড়ক মারধর করে। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে পৌঁছে শিক্ষককে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় দুপুরে সদর থানায় ছাত্রীর বাবা ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন। পরে পুলিশ ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায়।



