বেড়ায় আসন পুনর্বহালের দাবিতে হরতাল, সিএনজি ভাঙচুর করে ড্রাইভারদের মারধর

হরতালে বেড়া পৌর সদরের সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এবং সড়কে যানবাহন চলাচল জোর করে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এ সময় তারা সাঁথিয়া উপজেলার সিএন্ডবি গোল চত্বরে প্রায় ২০টি সিএনজি ভাঙচুর করে এবং ড্রাইভারদের মারধর করা হয় বলে জানা গেছে।

সাঁথিয়া (পাবনা) সংবাদদাতা

Location :

Pabna
প্রায় ২০টি সিএনজি ভাঙচুর করা হয়
প্রায় ২০টি সিএনজি ভাঙচুর করা হয় |নয়া দিগন্ত

পাবনা-১ (বেড়া আংশিক-সাঁথিয়া) সংসদীয় আসন পুনর্বহালের দাবিতে বেড়ায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলছে। হরতালে বেড়া পৌর সদরের সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এবং সড়কে যানবাহন চলাচল জোর করে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এ সময় তারা সাঁথিয়া উপজেলার সিএন্ডবি গোল চত্বরে প্রায় ২০টি সিএনজি ভাঙচুর করে এবং ড্রাইভারদের মারধর করা হয় বলে জানা গেছে।

রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটির ডাকে সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া এ হরতাল চলে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।

এর আগে শনিবার সকালে বেড়ার সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটির অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় কমিটির সভাপতি ফজলুর রহমান ফকির হরতালের ঘোষণা দেন।

জানা যায়, গত ৪ আগস্ট ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ৩০০ আসনের চূড়ান্ত সীমানা প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে সাঁথিয়া ও বেড়া উপজেলার একাংশ নিয়ে গঠিত পাবনা-১ আসন সংশোধন করে শুধু সাঁথিয়া উপজেলাকে রাখা হয়। অন্যদিকে বেড়া উপজেলাকে সম্পূর্ণভাবে পাবনা-২ আসনের (সুজানগর ও বেড়া) সাথে যুক্ত করা হয়।

তারা পাবনা-১ (সাঁথিয়া ও বেড়া উপজেলার আংশিক) সংসদীয় আসন পুনর্বহালের দাবিতে গত ৭ সেপ্টেম্বর সকালে ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক দুই ঘণ্টা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।

বেড়া পৌর বিএনপির সভাপতি ফজলুর রহমান ফকির বলেন, ‘আমরা ৫০ বছর ধরে পাবনা-১ আসন সাঁথিয়ার সাথে মিলেমিশে ছিলাম। দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ আসন এটি। অথচ হঠাৎ করে কেন পাবনা-১ আসন থেকে বেড়া উপজেলাকে বাদ দিয়ে পাবনা-২-এর সাথে যুক্ত করা হলো তা বোধগম্য নয়।’

ক্ষতিগ্রস্ত সাঁথিয়ার কয়েকজন সিএনজি ড্রাইভার বলেন, ‘তারা আমাদের সাঁথিয়ার মধ্যে এসে সিএনজি ভাঙচুর ও ড্রাইভারদের মারধর করেছে। আমরা গরীব মানুষ একদিন সিএনজি না চালালে আমাদের না খেয়ে থাকতে হবে। আমরা এ হরতালের নামে মারপিট ও ভাঙচুরের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একইসাথে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি যাতে আমরা রাস্তায় নির্ভয়ে সিএনজি চলাতে পারি।’

সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আনিসুর রহমান বলেন, ‘আমি সিএনজি ভাঙচুরের কথা শুনেছি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিজু তামান্না বলেন, ‘সিএনজি ভাঙচুর ও ড্রাইভারদের মারপিটের কথা শুনে সেনাবাহিনীকে পাঠিয়েছিলাম। সাঁথিয়া থানার পুলিশ স্পটেই আছে।’