লালমনিরহাট সীমান্তে ১৯ জনকে পুশইন

পুশইন করা ব্যক্তিরা বাংলাদেশী না ভারতীয় তা যাচাই করে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে বিএসএফের সাথে পতাকা বৈঠকের জন্য পত্র দেয়া হচ্ছে।

সাব্বির আহমেদ লাভলু, লালমনিরহাট
আমিনুর রহমান বাবুল, পাটগ্রাম (লালমনিরহাট)
আদিতমারী, হাতীবান্ধা ও পাটগ্রামের সীমান্তে এক যোগে ১৯ জনকে পুশইনের চেষ্টা চালায় বিএসএফ
আদিতমারী, হাতীবান্ধা ও পাটগ্রামের সীমান্তে এক যোগে ১৯ জনকে পুশইনের চেষ্টা চালায় বিএসএফ |নয়া দিগন্ত

লালমনিরহাট জেলায় সীমান্তের তিন স্থান দিয়ে কমপক্ষে ১৯ নারী-পুরুষ ও শিশুকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আদিতমারী, হাতীবান্ধা ও পাটগ্রামের সীমান্তে এক যোগে পুশইনের চেষ্টা চালায় তারা।

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) ভোরে পাটগ্রাম উপজেলার ঝালঙ্গী সিমান্তের ৮৪৭ পিলারের কাছে সাতজন ও হাতীবান্ধার ৮৮৯/১০ এস পিলারের কাছে পাঁচজন ও আদিতমারী উপজেলার দীঘলটারি ৯২৬/৩ এস সিমান্ত পিলারের কাছে সাতজনকে একযোগে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে ঠেলে পাঠানোর চেষ্টা করা হয়। এ ঘটনায় সীমান্তগুলোতে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

আদিতমারী উপজেলার সীমান্ত দিয়ে পুশইন করা সাত ব্যক্তি বাংলাদেশী বলে পরিচয় নিশ্চিত করেছে বিজিবি। তাদের উদ্ধার করে আদিতমারী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

পাটগ্রাম উপজেলার ঝালঙ্গী সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় সাত নাগরিক বাংলাদেশের প্রায় এক কিলোমিটার ভেতরে আউলিয়ারহাট বাজারে ঢুকে পড়লে স্থানীয় জনতা তাদের আটক করে ঝালঙ্গী ক্যাম্পে হস্তান্তর করেন। যাদের পুশইন করা হয়েছে তারা সবাই একই পরিবারের। তাদের মধ্যে তিনজন শিশু দু’জন নারী ও দু’জন পুরুষ রয়েছেন। তারা হলেন মো: আনারুল ইসলাম (৪২), তার স্ত্রী রোজিনা খাতুন (৩৬), আনারুল ইসলামের ছেলে আব্দুর রশিদ, (২২), আরেক ছেলে মুসা (৯), মেয়ে আরফিনা খাতুন (১৮), আনারুলের পাঁচ বছরের আরেক মেয়ে মারিয়াম ও দুই বছরের শিশু আল-আমিন।

অপরদিকে, একই সময়ে হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা দোলাপাড়া সীমান্ত দিয়ে পাঁচজনকে পুশইন করেছে বিএসএফ। তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।

লালমনিরহাট ১৫ বিজিবির সিইও মেহেদী ইমাম বলেন, প্রাথমিকভাবে আদিতমারী উপজেলার দিঘলটারি সীমান্ত দিয়ে পুশইন করা সাতজনকে বাংলাদেশী বলে নিশ্চিত হওয়া হওয়ার পর তাদের আটক করে আদিতমারী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

রংপুর ৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাসুম ঝালঙ্গী সীমান্ত দিয়ে পুশইনের বিষয়টি নিশ্চিত করে নয়া দিগন্তকে বলেন, পুশইন করা ব্যক্তিরা বাংলাদেশী না ভারতীয় তা যাচাই করে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে বিএসএফের সাথে পতাকা বৈঠকের জন্য পত্র দেয়া হচ্ছে।