রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার রাজামেহার ইউনিয়নের চুলাশ ভূঁইয়া বাড়ির মিনহাজুর রহমান ভূঁইয়ার একমাত্র ছেলে মাহতাব। সে গতকাল দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে। তার জন্য বার্ন ইনস্টিউটের বাইরে তার মা-বাবা ও স্বজনদের কান্না থামছেই না। মহান আল্লাহর কাছে একমাত্র ছেলের জীবন ভিক্ষা আর দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়ে অঝোরে কাঁদছেন তারা।
ঢাকায় জাতীয় বার্ন ইনস্টিউটের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) মৃত্যুর সাথে লড়ছেন গুরুতর দগ্ধ মাহতাব রহমান ভূঁইয়া। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মাহতাবের শরীরের প্রায় ৭০ শতাংশ পুড়ে গেছে। বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
মিনহাজুর রহমান ভূঁইয়া তার পরিবার নিয়ে উত্তরার একটি বাসায় থাকেন। প্রতিদিনের মতো সোমবার সকালেও মাহতাবকে তার বাবা স্কুলে পৌঁছে দেন। এদিন স্কুল ছুটির ১০-১৫ মিনিট আগে একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে ওই স্কুলের অনেক শিক্ষক-শিক্ষার্থী হতাহত হয়। এ সময় অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের খুঁজে পেতে ছোটাছুটি করতে থাকেন। এ সময় মাহতাব রহমানকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিউটে নিয়ে যান সেনাবাহিনীর সদস্যরা। সেখানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় আইসিউইতে নেয়া হয়।
মাহতাবের বাবা মিনহাজুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, ‘একমাত্র ছেলে আইসিইউতে আছে, আমরা বাইরে অপেক্ষা করছি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন মাহতাবের শরীরের প্রায় অর্ধেকের চেয়ে বেশি অংশ পুড়ে গেছে। অবস্থা ভালো না। মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলছে। চিকিৎসকরা চেষ্টা করছেন। আল্লাহ যেন আমার একমাত্র ছেলের জীবন ভিক্ষা দেয়, দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই।’
এর আগে গতকাল সোমবার দুপুরে রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এ পর্যন্ত নিহত হওয়ার সংখ্যা বেড়ে ৩১ জনে পৌঁছেছে।