ভোগান্তিতে ১০ গ্রামের মানুষ, কাঁচা রাস্তা পাকা করার দাবি

মাত্র ১২ শ’ মিটার কাঁচা রাস্তা বর্ষা মৌসুমে চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে।

গুরুদাসপুর (নাটোর) সংবাদদাতা

Location :

Natore
বর্ষাকালে রোগী, সমজিদ, মাদরাসা, কবরস্থান, স্কুলগামী সর্বসাধারণের ভোগান্তি যেন শেষ নেই।
বর্ষাকালে রোগী, সমজিদ, মাদরাসা, কবরস্থান, স্কুলগামী সর্বসাধারণের ভোগান্তি যেন শেষ নেই। |ছবি : নয়া দিগন্ত

মাত্র ১২ শ’ মিটার পাকা রাস্তার জন্য দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে চলনবিল অধ্যুষিত ১০ গ্রামের অন্তত ২০ হাজার বাসিন্দাকে। চলনবিলের প্রাণকেন্দ্র নাটোরের গুরুদাসপুরে বিয়াঘাট ইউনিয়নের বিলহরিবাড়ি আনিসের বাড়ি থেকে জলিলের বাড়ি পর্যন্ত কাঁচা রাস্তা বর্ষা মৌসুমে চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে।

সোমবার (১৪ জুলাই) সকালে রাস্তাটি পাকা করার দাবিতে ওই এলাকার ৫ শতাধিক মানুষ মানববন্ধন করেছেন। মানববন্ধনে জিল্লুর রহমান, মহিরুল ইসলাম, ফেরদৌস আলম, আব্দুল আজিজ, সাইদুর রহমান বক্তব্য প্রমুখ।

এলাকাবাসী বলেন, চলনবিল অধ্যুষিত বিলহরিবাড়ি গ্রামের এ রাস্তা দিয়ে কৃষক, শ্রমিক, শিক্ষার্থী চলাচল করে। বৃষ্টি হলেই পানি জমে কর্দমাক্ত রাস্তায় হেঁটে চলাচল করতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বর্ষাকালে রোগী, সমজিদ, মাদরাসা, কবরস্থান, স্কুলগামী সর্বসাধারণের ভোগান্তি যেন শেষ নেই।

জানা গেছে, জনগুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তা দিয়েই হরদমা, সাবগাড়ী, যোগেন্দ্রনগর, জ্ঞানদানগর, বিলহরিবাড়ি, তেলকুপিসহ অন্তত ১০ গ্রামের মানুষ চলনবিলে উৎপাদিত ফসল ঘরে তোলেন। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টি হলেই কাদাজলে দুর্ভোগ পোহাতে হয় কৃষিজীবি মানুষকে। শুধু তাই নয়, শিক্ষার্থীদেরও কাদাজল মেখে স্কুলে যাতায়াত করতে হয়।

বিয়াঘাট ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান সুজা বলেন, রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। দ্রুত রাস্তাটি পাকা করা হবে বলে আশা করেন তিনি।