‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সঠিকভাবে ফ্যাংশন না করলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না’ বলে জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ।
রোববার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে যাত্রাবাড়ী মোড়ে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় গণঅধিকার আয়োজিত দোয়া মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন। এসময় যাত্রাবাড়ী, ডেমরা এলাকার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
দোয়া মাহফিলে আবু হানিফ বলেন, ‘আজকে আমরা দেখলাম খুলনার আদালতে প্রকাশ্যে দুজনকে গুলি করে হত্যা করেছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর এখনো আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পারে নাই। দেশের বিভিন্ন জায়গায় হত্যাকাণ্ড ঘটছে। পতিত সরকার এখনো ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। সরকারের প্রতি আহ্বান আপনারা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনুন। প্রশাসনকে পুরোপুরি একটিভ করুন।’
তিন বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া একজন আপোসহীন নেত্রী। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে খালেদা জিয়ার ভূমিকা অবিস্মরণীয়। এখন তিনি হাসপাতালে ভর্তি আছেন অসুস্থ হয়ে, আমরা তার জন্য দোয়া ও সুস্থতা কামনা করছি। তার শারীরিক অবস্থা এমন হওয়ার পেছনে পতিত স্বৈরাচার সরকার দায়ি। বিগত ১৫ বছর নানাভাবে হয়রানি করা হয়েছে। অন্যায়ভাবে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। কারাগারে রেখে তাকে চিকিৎসা করতে দেয়া হয়নি। বিএনপির পক্ষ থেকে, দেশের মানুষের পক্ষ থেকে বারবার আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে দাবি করা হয়েছিল উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে, কিন্তু সেটার কর্ণপাত করে নাই পতিত সরকার।
সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম রণক বলেন, ‘খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের প্রতীক। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে তার শারীরিক সুস্থতা আমাদের সকলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা মহান আল্লাহর দরবারে তার দ্রুত আরোগ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি, যাতে তিনি আবারো দেশ ও জাতির সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে পারেন।’
এ সময় তিনি উপস্থিত সকলের কাছে বেগম জিয়ার জন্য খাস দিলে দোয়া করার আহ্বান জানান। পরে বিশেষ মোনাজাতে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি, দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা ও সমৃদ্ধি কামনা করে মহান আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করা হয়।
তিনি আরো বলেন, ‘গণঅধিকার পরিষদ আমাকে ঢাকা-৫ আসনে মনোনীত করেছে, আমি আপনাদের দোয়া চাই। আমাকে আপনারা ভোট দিলে এই এলাকায় কোনো অন্যায় অনিয়ম থাকবে না।’



