১৯০০ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন বাতিলসহ আট দফা দাবিতে আগামী ১৩ অক্টোবর বান্দরবানে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে পার্বত্য নাগরিক পরিষদ।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে হোটেল গ্র্যান্ড ভ্যালি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী মজিবর রহমান এ ঘোষণা দেন।
সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ব্রিটিশ রচিত পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি-১৯০০ বাতিল করে সংবিধানের আলোকে তিন পার্বত্য জেলার শাসন ব্যবস্থা চালু, জমি ক্রয়-বিক্রয়, চাকরি, শিক্ষা ইত্যাদি ক্ষেত্রে রাজার সনদ বাতিল, ৬১ জেলার মতো রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে ভূমি ব্যবস্থাপনা চালু, বাজার ফান্ড প্লটের লিজ মেয়াদ ৯৯ বছরে উন্নীতকরণ এবং বন্ধ থাকা ব্যাংক ঋণ পুনরায় চালুর দাবি জানানো হয়েছে।
এছাড়া উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বান্দরবানসহ তিন পার্বত্য জেলায় পরিবেশবান্ধব ইটভাটা, কলকারখানা ও শিল্প প্রতিষ্ঠান চালু, আইনশৃঙ্খলা ও জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে প্রত্যাহারকৃত ২৪৬টি সেনাক্যাম্প পুনঃস্থাপন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করে চাঁদাবাজি, গুম, খুন, ধর্ষণ বন্ধ এবং সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার দাবি জানানো হয়।
সংগঠনটি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যবসা, চাকরি ইত্যাদি ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করে সমান অধিকার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানায়। পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলার সাধারণ মানুষ এসব বিষয়ে ভয়াবহ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন বলেও উল্লেখ করা হয়।
সংগঠনের পক্ষ থেকে আরো জানানো হয়, ১৩ অক্টোবর বান্দরবানে হরতালের মাধ্যমে দাবি আদায়ের কর্মসূচি শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে তিন পার্বত্য জেলায় হরতাল, অবরোধসহ আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল আবসার এবং দফতর সম্পাদক মো: জালাল।