সুন্দরবনের ডিমের চরে নিখোঁজের ৩০ ঘণ্টা পর পর্যটকের লাশ উদ্ধার

রোববার বেলা ৩টার দিকে পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের কচিখালী অভয়ারণ্য কেন্দ্রে ডিমের চরের দক্ষিণ পাশের নদীতে ভাসমান অবস্থায় লাশটি দেখতে পায় জেলেরা। পরে কোস্টগার্ড ও বন বিভাগের সদস্যরা লাশটি উদ্ধার করে বলে নিশ্চিত করেছে বনবিভাগ।

মো: আনোয়ার হোসেন, শরণখোলা (বাগেরহাট)

Location :

Bagerhat
পর্যটক মাহিত আব্দুল্লাহ
পর্যটক মাহিত আব্দুল্লাহ |নয়া দিগন্ত

সুন্দরবনের ডিমের চরে নিখোঁজের প্রায় ৩০ ঘণ্টা পর মাহিত আব্দুল্লাহর (১৬) নামে এক পর্যটকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ৩টার দিকে পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের কচিখালী অভয়ারণ্য কেন্দ্রে ডিমের চরের দক্ষিণ পাশের নদীতে ভাসমান অবস্থায় লাশটি দেখতে পায় জেলেরা। পরে কোস্টগার্ড ও বন বিভাগের সদস্যরা লাশটি উদ্ধার করে বলে নিশ্চিত করেছে বনবিভাগ।

এর আগে শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কচিখালী ডিমের চরে নদীতে নেমে সাঁতার কাটার সময় ঘূর্ণি স্রোতে ভেসে যায় আব্দুল্লাহ। এরপর থেকে কোস্টগার্ডের ডুবুরি দল ও বন বিভাগের সদস্যরা তল্লাশি অভিযান শুরু করেন।

নিহত মাহিত আব্দুল্লাহ ঢাকার মীরপুর ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চিকিৎসক শেখ সুলতান মাহামুদ আসাদের ছেলে। তারা মহাম্মদপুর শেখেরটেকের বাসিন্দা।

জানা যায়, ড. সুলতান মাহামুদ তার স্ত্রী ও চার ছেলেসহ ঢাকার বিভিন্ন এলাকার মোট ৭৫ জনের একটি পর্যটক দল এমভি দ্য এক্সপ্লোরার নামের একটি জাহাজে সুন্দরবন ভ্রমণে এসেছিলেন। শরণখোলা রেঞ্জের কটকা, কচিখালী, ডিমের চরসহ সুন্দরবনের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ভ্রমণের কথা ছিল তাদের। কিন্তু আকস্মিক দুর্ঘটনায় সবকিছু তছনছ হয়ে পড়ে। পরে ভ্রমণ স্থগিত করে সবাই ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন।

পর্যটক দলের সদস্য মো: আল আমীন জানান, ‘দুর্ঘটনার তারা সবাই শোকাহত। তারা ভ্রমণ স্থগিত করেছেন। নিখোঁজ আব্দুল্লাহর মা, তিন ভাইকে নিয়ে তারা সবাই ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। ঘটনাস্থলে শুধু আব্দুল্লাহর বাবা, তার এক বন্ধু ও জাহাজের দু’জন স্টাফ রয়েছেন।’

সুন্দরবন পূর্ব বিভাগ বাগেরহাটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো: রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘নিখোঁজ কিশোর পর্যটকের লাশটি উদ্ধার হয়েছে। লাশ কোস্ট গার্ডের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। কোস্ট গার্ড এ ব্যাপারে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’

কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন মোংলা সদর দফতরের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা কিশোরের লাশটি নিয়ে মোংলা সদর দফতরে রওনা হয়েছেন। এখানে নিয়ে আসার পরে আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে লাশটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।