মিরসরাইয়ে বিষাক্ত বর্জ্যে কমলাসাগর দিঘিতে মাছ নিধনের অভিযোগ

প্রতিটি মাছের ওজন ছিল এক থেকে দেড় কেজি। এই মৌসুমে আমার বিনিয়োগ ছিল ৭০ লাখ টাকার বেশি। ইতোমধ্যে প্রায় সব মাছ মারা গেছে।

এম মাঈন উদ্দিন, মিরসরাই (চট্টগ্রাম)

Location :

Mirsharai
বিষাক্ত বর্জ্যে কমলাসাগর দিঘিতে মাছ নিধনের অভিযোগ
বিষাক্ত বর্জ্যে কমলাসাগর দিঘিতে মাছ নিধনের অভিযোগ |নয়া দিগন্ত

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে মুরগি ও গরুর খামারের বিষাক্ত বর্জ্য পদার্থ ও বিষ্ঠা ফেলে অর্ধকোটি টাকার মাছ নিধনের অভিযোগ উঠেছে ইকবাল পোল্ট্রি অ্যান্ড ডেইরি এগ্রো কমপ্লেক্সের বিরুদ্ধে।

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার ধুম ইউনিয়নের মহাজনহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, ধুম ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ও তরুণ উদ্যোক্তা সাকিব চৌধুরী ৬ একর জায়গাজুড়ে কমলাসাগর নামে একটি দিঘিতে দীর্ঘদিন ধরে দেশীয় প্রজাতির মাছ চাষ করে আসছেন। তার দাবি, পাশের আওয়ামী লীগ নেতা জাবেদ ইকবালের খামার থেকে কোনো পরিশোধন ছাড়াই সরাসরি বর্জ্য ফেলা হচ্ছে দিঘিতে। এতে গত কয়েকদিনে তার অর্ধকোটি টাকার মাছ মারা গেছে। পুকুরের পানি ব্যবহারে গ্রামবাসীর মধ্যে চর্মরোগও দেখা দিয়েছে।

সাকিব চৌধুরী বলেন, ‘প্রতিটি মাছের ওজন ছিল এক থেকে দেড় কেজি। এই মৌসুমে আমার বিনিয়োগ ছিল ৭০ লাখ টাকার বেশি। ইতোমধ্যে প্রায় সব মাছ মারা গেছে। গত ৮ বছর ধরে মাছ বড় হলেই ইচ্ছাকৃতভাবে বিষাক্ত বর্জ্য ফেলে মাছ মেরে ফেলা হয়। অভিযোগ করলে মামলা ও হামলার ভয় দেখানো হয়। আওয়ামী লীগের ক্ষমতা দেখিয়ে চুপ করিয়ে দেয়া হয়। এ পর্যন্ত প্রায় ২ কোটি টাকার মাছ নষ্ট হয়েছে।’

অভিযুক্ত ইকবাল পোল্ট্রি অ্যান্ড ডেইরি এগ্রো কমপ্লেক্সের সত্ত্বাধিকারী ধুম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা জাবেদ ইকবালের বক্তব্য জানতে তার বাড়ি ও ফার্মে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর, হোয়াটসঅ্যাপ ও মেসেঞ্জারে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

মিরসরাই সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আরিফুর রহমান বলেন, ‘দিঘি ও পাড়ে মাছ মরার বিষয়টি জেনেছি। মৎস্যচাষী সাকিব অভিযোগ করেছেন, খামারের বিষাক্ত বর্জ্য পদার্থের কারণে মাছ মারা গেছে। এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।’

মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোমাইয়া আক্তার বলেন, ‘বিষাক্ত বর্জ্য পদার্থে কমলাসাগর দিঘির মাছ মারা যাওয়ার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। মৎস্য কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’