চুয়াডাঙ্গার বহুল আলোচিত দিনমজুর মন্টু মিয়া হত্যা মামলায় চার আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসাথে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো: মোক্তাগীর আলম এ রায় ঘোষণা করেন। পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মারুফ সারোয়ার বাবু গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- দামুড়হুদার জয়রামপুর গ্রামের বারুইপাড়ার মরহুম তোয়াক্কেল মণ্ডলের ছেলে রবিউল ইসলাম (৪৭), একই এলাকার মরহুম রবিউল ইসলামের ছেলে আসান ওরফে তোতা মিয়া (৪৬), ডাক্তারপাড়ার লাল চাঁদ মণ্ডলের ছেলে বাবু (৪৬) এবং মল্লিকপাড়ার আব্দুস ছাত্তারের ছেলে জাহিদ হোসেন (৩৯)। এর মধ্যে আসান ওরফে তোতা মিয়া এখনো পলাতক রয়েছেন।
মামলার নথি অনুযায়ী, ২০১৪ সালের ৬ মে রাতে দামুড়হুদার হাউলী ইউনিয়নের জয়রামপুর গ্রামে নিজের ঘরের বারান্দায় ঘুমিয়ে ছিলেন মন্টু মিয়া (৩০)। রাতের অন্ধকারে পাঁচ থেকে ছয়জন সশস্ত্র ব্যক্তি হামলা চালিয়ে তাকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর নিহতের মা হাজেরা বেগম অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে দামুড়হুদা থানায় মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে একই বছরের ৩০ নভেম্বর এসআই আজিজুর রহমান পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলার অন্যতম আসামি ডাক্তারপাড়ার আলমগীর হোসেন পরে মারা যাওয়ায় তাকে বাদ দেয়া হয়। ২০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত রায় প্রদান করেন এবং পলাতক আসামিকে দ্রুত গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন। রায় ঘোষণার পর এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ও সন্তুষ্টির আবহ দেখা গেছে। তারা আশা প্রকাশ করেছেন, পলাতক আসামিকেও আইনের আওতায় আনা হবে এবং এ রায় ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।