বরিশালের গৌরনদীতে জমির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষের ঘটনায় এবং পরবর্তীতে হাসপাতালে হামলায় অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন। আহতরা বর্তমানে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বিকালে সুন্দরদী গ্রামের কালাম ফকির ও লুৎফর শিকদারের মধ্যে জমির সীমানা নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষ হয়। এতে কালাম ফকিরের স্ত্রী নাসিমা বেগম ও লুৎফর শিকদার গুরুতর আহত হন এবং তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
কালাম ফকিরের ছেলে আরাফাত ফকির জানান, হাসপাতালে মা নাসিমা বেগমের চিকিৎসার সময় সন্ধ্যার দিকে বার্থী ইউনিয়ন যুবদল নেতা কাইয়ুম খানের নেতৃত্বে ১০-১২ জন ব্যক্তি হাসপাতালে প্রবেশ করে তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আরাফাত, তার বাবা কালাম ফকির এবং দুই বোনসহ মোট পাঁচজন আহত হন।
কালাম ফকিরের মেয়ে তানিয়া বেগম বলেন, ‘হামলার সময় প্রাণ বাঁচতে আমরা হাসপাতালের বাথরুমে আশ্রয় নেই, কিন্তু কাইয়ুম খান ও তার সহযোগীরা দরজা ভেঙে আমাদের টেনে-হিঁচড়ে বাইরে আনে এবং পুনরায় মারধর করে। হামলার সময় হামলাকরীরা হাসপাতালের জানালার গ্লাস ও বিভিন্ন আসবাবপত্রও ভাঙচুর করা হয়।’
ঘটনার খবর পেয়ে গৌরনদী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো: মাহবুবুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে পুলিশ পৌঁছানোর আগেই হামলাকারীরা স্থানীয়দের তোপের মুখে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। গৌরনদী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো: মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অভিযুক্ত কাইয়ুম খান হামলার বিষয়ে বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না। ঘটনার সময় আমি যুবদলের একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলাম।’ তবে স্থানীয়দের ভাষ্য ও ভিডিও ফুটেজে হামলার সময় কাইয়ুম খানকে ঘটনাস্থলে দেখা যায়।
গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: শাহতা জারাব সালেহিন জানান, আহতদের চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে।
এদিকে সরকারি হাসপাতালের অভ্যন্তরে হামলার ঘটনায় এলাকার সচেতন মহল তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এবং দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার জন্য সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করেছেন।



