ঈদের নামাজ শেষ করেই শুরু হয় কোরবানি। আর পশুর চামড়ার মৌসুমী ব্যবসায়ীরা দিনভর চামড়া কিনতে থাকেন এবং বিকেলে সেগুলো নিয়ে যান বিক্রি করতে। কিন্তু সরকার নির্ধারিত দামের চেয়েও কম মূল্যে বিক্রি করছেন চামড়া। প্রত্যাশিত দাম না পাওয়ায় হতাশ তারা। তবে গেল বছরের থেকে এবার চামড়ার দাম অনেক কম বলেও অভিযোগ মৌসুমী ব্যবসায়ীদের।
শনিবার (৭ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আশুলিয়ার জিরানী বাজার, জামগড়াসহ বিভিন্ন এলাকার মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে এ তথ্য জানা যায়।
জিরানী বাজার এলাকায় কথা হয় মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেনের সাথে। তিনি জানান, গেল বছরের থেকে এবার কাঁচা চামড়ার দাম অনেকটাই কম। মাদ্রাসাগুলো চামড়া বিক্রি করছেন না। এছাড়া খুচরা ব্যবসায়ী যারা আছেন লোকসানে পড়েছেন। একটি বড় আকারের গরুর চামড়া বিক্রি হচ্ছে সাত শ’থেকে সাড়ে সাত শ’ টাকায়। তবে তিনি সাভার হেমায়েতপুরে চামড়া শিল্প নগরীতে চামড়া দিবেন তাই কিনছেন। তিনি প্রায় ছয় হাজার পিছ চামড়া কিনেছেন। ছয় থেকে সাত শ’টাকার মধ্যেই কিনেছেন তিনি। এছাড়া খাসির চামড়ার চাহিদা কম থাকায় ৫০/৬০ টাকার মধ্যেই বিক্রি হচ্ছে।
তিনি জানান, সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে অনেক কম দামেই বিক্রি হচ্ছে চামড়া। তবে লবণযুক্ত সরকার নির্ধারণ করে দিয়েন ১৩৫০ টাকা। কিন্তু লবণ ছাড়া কিনছেন তিনি সাত শ’টাকা করে। অধিকাংশ মাদরাসাগুলো চামড়া বিক্রি করছেন না। তবে জামগড়া এলাকার তিনটি মাদরাসা থেকে চামড়া কিনেছেন তিনি।
আরেক মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম জানান, তিনিও কোরবানির ঈদে বেশকিছু চামড়া কিনে থাকেন। এবার তিনি ১৭টি চামড়া কিনেছেন। তবে যেই আশা নিয়ে চামড়া কিনেছিলেন তা আর পূরণ হলো না। বড় আকারের একটি চামড়া মাত্র সাড়ে সাত শ’টাকা। পরে ওই দামেই সবগুলো বিক্রি করেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত বছরের তুলনায় এবার গরুর চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুটে বাড়ানো হয়েছে পাঁচ টাকা। আর খাসি ও বকরির চামড়ার দাম বাড়ানো হয়েছে দুই টাকা করে।
ঢাকায় প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম ৬০ থেকে ৬৫ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ঢাকায় সর্বনিম্ন কাঁচা চামড়ার দাম এক হাজার ৩৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর ঢাকার বাইরে সর্বনিম্ন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে এক হাজার ১৫০ টাকা।
এ ছাড়া খাসির চামড়ার ক্রয়মূল্য প্রতি বর্গফুট ২২ থেকে ২৭ টাকা এবং বকরির চামড়ার দাম ২০ থেকে ২২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।