সদ্য বিএনপিতে যোগ দেয়া অর্থনীতিবিদ ড. রেজা কিবরিয়া বলেছেন, ‘বাবা সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার বাবাকে হত্যাকারী হচ্ছে আওয়ামী লীগ। আমি শেখ হাসিনার কাছে বাবা হত্যার বিচার চেয়ে পাইনি। গত ১৫ বছর ধরে শেখ হাসিনা আমার বাবার হত্যাকারীদের রক্ষা করেছেন। তার নির্দেশেই এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছিল।’
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নের জালালসাপ গ্রামে তার নিজ বাড়িতে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিল শুরু আগে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘দেশের চান্দাবাজ, দুর্নীতিবাজ, ভূমিখেকোদের মুলৎ উৎপাটন করাই আমার মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। স্বপ্নের মতো গড়ে তুলবো নবীগঞ্জ ও বাহুবলকে। সবাই অবাক হয়ে দেখবে বাংলাদেশের মধ্যে নবীগঞ্জ ও বাহুবল হবে একটি মডেল উপজেলা যে স্বপ্ন আমার বাবা দেখতেন। আমি ৩৫টি দেশের উন্নয়নে কাজ করেছি এখন শেষ বয়সে আমার দেশের মানুষের উন্নয়নে কাজ করতে চাই। আমরা মেধা ভিত্তিক সরকার চাই। আমি কথায় নয়, কাজে বিশ্বাসী, আমার বাবা নবীগঞ্জ নিয়ে স্বপ্ন দেখতেন, সেই রকম উন্নয়ন করবো, সেটা দেখলে মানুষ অবাক হবেন, আমি নবীগঞ্জ ও বাহুবলে টেকনিক্যাল কলেজ ও নার্সিং ইনস্টিটিউট করবো। নার্সিংয়ের জন্য ডিগ্রির ব্যবস্থা করবো। আমার দাদা বাড়ি নবীগঞ্জ দাদি বাড়ি বাহুবল, এখানে আমার নাড়ীর টান রয়েছে। শুধু নবীগঞ্জ নয় সিলেট শহরকে একটি আর্দশ্য শহর বানাবো। আমাদের এলাকায় স্কুল কলেজ এতো উন্নতমানের নয়, আমাদের এলাকায় উন্নত মানের স্কুল কলেজ গড়ে তুলতে হবে, শিক্ষার মান আরো উন্নত করতে হবে। আমাদের শিক্ষারমান আশানুরুপ নয়। আমার বাবা একজন অনির্বাচিত অর্থমন্ত্রী হয়ে কি করেছেন আপনারা দেখেছেন, আমি নির্বাচিত হয়ে আপনাদের উন্নয়নে কাজ করবো। আজকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আছেন, তার জন্য দোয়া মাহফিল করার জন্য এসেছি। আওয়ামী লীগের আমলে খালেদা জিয়াকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেলে রাখা হয়েছে। তাকে হাসপাতালে ওষুধ সেবা দেয়নি।’
নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ মতিউর রহমান পেয়ারার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মজিদুর রহমান ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অলিউর রহমান অলির যৌথ পরিচালনায়, বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি বয়েতুল্লাহ মিয়া, সহ সভাপতি মো: ছালিক মিয়া, শাহ দারা আলী, সহ সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জালাল আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিদ আহমদ তালুকদার, বাহুবল উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইমাম উদ্দিন, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান চান মিয়া, প্রফেসার মুস্তাহিদ আহমদ, শফিউল আলম বজলু, কয়ছর আহমদ, মুর্শেদ চৌধুরী, আব্দুর রকিব, ডা: সাহাজাহান আহমদ শাজন, আব্দুল আলীম ইয়াসিনী, যুবদল নেতা জয়নাল আবেদিন, শাহিন তালুকদার প্রমুখ।
পরে তিনি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, বর্তমান সরকারের প্রশাসনিক দক্ষতা নেই। সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য যে সামগ্রিক সক্ষমতা দরকার ভোটকেন্দ্রে সুষ্ঠু পরিবেশ, নিরাপত্তা, ভোটের দিন ভোটবাক্স সুরক্ষা, ভোটের দিন মব ও দাঙ্গা রক্ষার জন্য কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। বর্তমানে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বিরাজ করছে।
পরে বেগম খালেদা জিয়ার আশুরোগ মুক্তি কামনা করে মিলাদ মাহফিল ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন রুস্তমপুর নয়মৌজা দাখিল মাদরাসার সুপার অধ্যক্ষ মাওলানা সাজাজ্জাদুর রহমান।



