গাজীপুরের শ্রীপুরে পিস্তল ঠেকিয়ে স্কুল থেকে এক শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে মারধরের অভিযোগে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কাওসারকে গ্রেফতার করেছে শ্রীপুর থানা পুলিশ ।
বুধবার (৯ জুলাই) দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল বারিক নিশ্চিত করেন।
কাওসার উপজোলার গাজীপুর ইউনিয়নের ধনুয়া গ্রামের মরহুম ইমান আলী মুক্তারের ছেলে। তিনি গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি।
জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার ধনুয়া এলাকায় হাজ্বী প্রি-ক্যাডেট স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ফেরদৌস আহমেদ ও একই স্কুলের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ওবায়দুল ইসলামের সাথে ঝগড়া হয়। তার জের ধরে ফেরদৌসকে পিস্তল ঠেকিয়ে তুলে নিয়ে নির্যাতন চালানো হয়। এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
হাজ্বী প্রি-ক্যাডেট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক আবুল হাশেম জানান, দু’ শিক্ষার্থীদের ঝগড়ার জের ধরে নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ওবায়দুল ইসলামের আত্মীয় স্বজনরা এসে স্কুলে হামলা চালায়। এ সময় ধনুয়া গ্রামের মরহুম ইমান আলীর ছেলে কাওসার আহমেদ, মরহুম শামসুল হকের ছেলে এমদাদুল হকসহ আরো বেশ কয়েকজনের একটি সন্ত্রাসী দল অস্ত্রের মুখে শিক্ষার্থী ফেরদৌসকে তুলে নিয়ে যায়। এ সময় শিক্ষকরা বাধা দিলে তাদেরকেও মারধর করা হয়।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, ‘এ বিষয়ে ছয়জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা হয়েছে। রাতেই মামলার প্রধান আসামি কাওসারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় তার বাসা থেকে একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়াকিটকি উদ্ধার করা হয়। কাওসারের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা রয়েছে। বুধবার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।’