পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম ও তার ভাবী মুকুল বেগমকে কুপিয়ে হত্যা এবং স্ত্রী রেহেনা বেগমকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করার মামলায় প্রধান আসামি ইউনুস আলী শেখকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-২)।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) ইন্দুরকানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মারুফ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
ইউনুস আলী শেখ উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের পশ্চিম চরবলেশ্বর গ্রামের বাসিন্দা।
থানা সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার (৩০ জুন) রাত ১০টার দিকে অভিযান চালিয়ে ঢাকার দক্ষিণখান এলাকার আজমপুর জয়নাল মার্কেট-সংলগ্ন হাজী সবুর খানের বাড়ি থেকে ইউনুস শেখকে গ্রেফতার করে র্যাব। এর আগে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা বিভাগের সদস্যরা হত্যা মামলার প্রধান আসামি ইউনুস আলী শেখের অবস্থান শনাক্ত করে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। পরে র্যাব রাতে মোহাম্মদপুর থানায় ইউনুস আলীকে সোপর্দ করে। সেখান থেকে তাকে মঙ্গলবার সকালে ইন্দুরকানী থানায় আনা হয়।
এয়ার টিকিট সূত্রে জানা গেছে, ইউনুস আলী শেখ গত মাসের (১৭ জুন) জাজিরা এয়ারওয়েজে ফ্লাইট বুকিং করেন। ওই টিকিট অনুযায়ী বুধবার (২ জুলাই) তার ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে কুয়েত হয়ে সৌদি আরবের কাসিম যাওয়ার কথা ছিল। এতে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি হত্যাকাণ্ডের পরপরই বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন।
ইন্দুরকানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মারুফ হোসেন জানান, আলোচিত জোড়া খুনের মামলার প্রধান আসামিকে ঢাকার দক্ষিণখান এলাকা থেকে র্যাব সদস্যরা গ্রেফতার করে। ঘটনারদিন রাতে আসামি ইউনুস আলীর ভাই রফিকুল ইসলামকেও গ্রেফতার করা হয়। অন্য আসামিদেরও গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত মাসের (২৭ জুন) রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও সাবেক স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা শহিদুল ইসলাম এবং তার ভাবী মুকুলী বেগমকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। একই হামলায় শহিদুলের স্ত্রী স্কুল শিক্ষিকা রেহেনা বেগম গুরুতর আহত হন। তিনি বর্তমানে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।