পদ্মা সেতুতে ইটিসি পদ্ধতিতে টোল আদায় ৪ লাখ ৪৩ হাজার টাকা

জনগণকে নতুন একটি সিস্টেমে অভ্যস্ত হতে সময় লাগে। ইতোমধ্যে ইমাদ পরিবহনের বাসসহ ৯০টি যানবাহনের সফল রেজিস্ট্রেশন হয়েছে এবং ইটিসি পদ্ধতিতে টোল আদায় হয়েছে ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৮৫০ টাকা।

গোলাম মঞ্জুরে মাওলা অপু, লৌহজং (মুন্সীগঞ্জ)

Location :

Munshiganj
পদ্মা সেতুতে ইটিসি পদ্ধতিতে টোল আদায় ৪ লাখ ৪৩ হাজার টাকা
পদ্মা সেতুতে ইটিসি পদ্ধতিতে টোল আদায় ৪ লাখ ৪৩ হাজার টাকা |নয়া দিগন্ত

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম প্রবেশদ্বার পদ্মা সেতুতে চালু হয়েছে আধুনিক ও বিরতিহীন ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন (ইটিসি) পদ্ধতি। গাড়ি থামানো ছাড়াই নির্ধারিত লেন ব্যবহার করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টোল পরিশোধের সুবিধা দিচ্ছে এ প্রযুক্তি।

আজ শনিবার ৯০টি যানবাহন থেকে মোট ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৮৫০ টাকা টোল আদায় হয়েছে। এর আগে সোমবার থেকে লাইভ পাইলটিং আকারে এ সুবিধা চালু হয়।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের পদ্মা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী (টোল, ব্রিজ অ্যান্ড বিইএফ, রোড আরটিডব্লিউ অ্যান্ড বিল্ডিং) আবু সায়াদ নিলয় জানান, ‘জনগণকে নতুন একটি সিস্টেমে অভ্যস্ত হতে সময় লাগে। ইতোমধ্যে ইমাদ পরিবহনের বাসসহ ৯০টি যানবাহনের সফল রেজিস্ট্রেশন হয়েছে এবং ইটিসি পদ্ধতিতে টোল আদায় হয়েছে ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৮৫০ টাকা।’

সূত্রে জানা গেছে, ইটিসি ব্যবহারে আগ্রহী গাড়ি মালিকদের প্রথমে ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের ‘ট্যাপ’ (Trust and Pay বা TAP) অ্যাপে গিয়ে ‘D-Toll’ অপশনে গাড়ি রেজিস্ট্রেশন ও রিচার্জ সম্পন্ন করতে হয়। এরপর পদ্মা সেতুর রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন (RFID) বুথে প্রথমবারের মতো ট্যাগ চেক ও রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শেষ করতে হয়। প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে ব্যবহারকারীরা সর্বনিম্ন ৩০ কিলোমিটার/ঘণ্টা গতিতে ইটিসি লেন ব্যবহার করতে পারেন এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্ধারিত টোল কেটে নেয়া হয়।

তবে মোটরসাইকেল ব্যবহারকারীরা এখনো এ পদ্ধতির আওতায় পড়েননি। ভবিষ্যতে ‘ট্যাপ’ ছাড়াও অন্যান্য ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাপকে ইটিসি সেবার সাথে যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। এ লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের এটুআই কাজ করছে।

পদ্মা সেতু চালুর পর থেকেই দুই প্রান্তে ইটিসি লেন থাকলেও কার্যকর সুফল পাওয়া যাচ্ছিল না। ২০২৩ সালের ৫ জুলাই পরীক্ষামূলকভাবে ইটিসি চালু হলেও সফটওয়্যার ইন্টিগ্রেশন, ই-মানি ট্রানজেকশন, লেন নির্মাণ ও কোরিয়ান বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে চূড়ান্ত পরীক্ষার কিছু কাজ অসম্পূর্ণ থাকায় পূর্ণাঙ্গ অপারেশনে যেতে বিলম্ব হয়।

দীর্ঘ প্রস্তুতির পর সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের বিশেষ নির্দেশনায় ইটিসি পদ্ধতি চালু হয়।

সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, স্বয়ংক্রিয় টোল আদায়ের ফলে যানজট ও সময় নষ্টের ভোগান্তি কমবে এবং দেশের টোল ব্যবস্থাপনায় একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন সূচিত হবে।