সিলেটে হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ

অর্ন্তবর্তী সরকারকে বিদেশীদের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের পথ পরিহার করতে হবে

বক্তারা বলেন, ‘অর্ন্তবর্তী সরকার গণঅভ্যুত্থানে পলাতক ফ্যাসিস্টদের বিচার নিশ্চিতে যতটুকু তৎপর থাকার কথা, তা না করে বিতর্কিত নারী নীতি, মানবিক করিডোর, বন্দর লিজ দেয়ার মতো অ্যাজেন্ডা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় গণ-অভ্যুত্থানের অংশীজনদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হচ্ছে।’

এমজেএইচ জামিল, সিলেট ব্যুরো

Location :

Sylhet Sadar
সিলেটে হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ
সিলেটে হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ |নয়া দিগন্ত

‘অর্ন্তবর্তী সরকারকে বিদেশীদের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের পথ পরিহার করতে হবে’ উল্লেখ করে সিলেটে হেফাজতে ইসলামের নেতারা বলেছেন, ‘অর্ন্তবর্তী সরকার গণঅভ্যুত্থানে পলাতক ফ্যাসিস্টদের বিচার নিশ্চিতে যতটুকু তৎপর থাকার কথা, তা না করে বিতর্কিত নারী নীতি, সমকামিতা বৈধকরণ, মানবিক করিডোর, বন্দর লিজ দেয়ার মতো বিদেশীদের অ্যাজেন্ডা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় গণ-অভ্যুত্থানের অংশীজনদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হচ্ছে।’

হেফাজতের কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে শুক্রবার (২৩ মে) বাদ জুম’আ সিলেটে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে বক্তারা এ কথা বলেন।

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিল, শাপলা ও জুলাই গণহত্যার বিচার, হেফাজত নেতা-কর্মীদের সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং ফিলিস্তিন ও ভারতে মুসলিম হত্যা বন্ধের দাবিতে সিলেটে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে হেফাজতে ইসলাম।

সংগঠনিটির সিলেট মহানগর সমন্বয় কমিটি আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্ম বিশ্বাস ও সংস্কৃতির বিরুদ্ধে সুদূর প্রসারি ষড়যন্ত্রের অংশ। এরকম প্রতিবেদন দিয়ে যারা সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে, সেই কমিশন বাতিল করে এদেশের মানুষের মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল নারীদের সমন্বয়ে নতুন কমিশন গঠন করে নারীদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।’

হেফাজতের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা ও জামেয়া নূরিয়া ইসলামিয়া ভার্থখলা মাদরাসার প্রিন্সিপাল শায়খ মাওলানা মজদুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে বাদ জুমা নগরীর কোর্ট পয়েন্টে ওই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন হেফাজত নেতা মাওলানা আবদুল মালিক চৌধুরী।

বক্তারা বলেন, ‘অর্ন্তবর্তী সরকার গণঅভ্যুত্থানে পলাতক ফ্যাসিস্টদের বিচার নিশ্চিতে যতটুকু তৎপর থাকার কথা, তা না করে বিতর্কিত নারী নীতি, সমকামিতা বৈধকরণ, মানবিক করিডোর, বন্দর লীজ দেয়ার মতো বিদেশীদের এজেন্ডা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় গণ-অভ্যুত্থানের অংশীজনদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে ফ্যাসিবাদ পূণর্বাসনের পথ সুগম হচ্ছে। যা এই দেশের জন্য শোভনীয় নয়।’

মাওলানা এমরান আলম ও মাওলানা জাবেদুল ইসলাম চৌধুরীর যৌথ পরিচালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- বন্দরবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতীব মাওলানা মুশতাক আহমদ খান, মাওলানা সামিউর রহমান মুছা, মাওলানা গাজী রহমতুল্লাহ, হাফিজ মাওলানা তাজুল ইসলাম হাসান, মাওলানা ইকবাল হোসাইন, মাওলানা নিজাম উদ্দীন, মাওলানা আহমদ কবীর, মাওলানা হাবীব আহমদ শিহাব, মাওলানা মাহমুদুল হাসান, মাওলানা আখতারুল ইসলাম, মাওলানা মুখলিছুর রহমান, মাওলানা শামসুদ্দিন মোহাম্মদ ইলয়াস, আবদুল হান্নান তাপাদার, মৌলানা আব্দুল মছবিবর জামডরী, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ফজর আলী, মাওলানা হোসাইন আহমদ,মাওলানা পীর আবদুল জব্বার, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা মুজাম্মিল হোসাইন তালুকদার, মাওলানা ইমদাদুল হক নোমানী, হাজী শফী উদ্দিন ছুফী মিয়া, মুফতী আলী আহমদ, মাওলানা সানাউল্লাহ, মাওলানা সৈয়দ মুসাদ্দেক বিল্লাহ, হাজী আব্বাস উদ্দীন জালালী, অ্যাডভোকেট বেলাল আহমদ চৌধুরী, মাওলানা কায়সার মাহমুদ আকবরী, মাওলানা অলিউল্লাহ, মাওলানা এম এ সিদ্দিকী, মাওলানা শরীফ উদ্দীন, মাওলানা আফজল, মাওলানা মিজানুর রহমান, আতিক নগরী, মাওলানা জুবায়ের আহমদ খান, মাওলানা সেলিম আহমদ, হাফিজ মাওলানা আব্দুল হামিদ, মাওলানা সহুল আহমদ প্রমূখ।

সমাবেশ শেষে এক বিক্ষোভ মিছিল নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে চৌহাট্টা পয়েন্টে গিয়ে শেষ হয়।