গাজীপুরের টঙ্গীর শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহরিয়ার হোসেন সৈকতকে (৩২) ছয় সহযোগীসহ আটক করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ সময় তাদের কাছ থেকে অস্ত্র এবং হিরোইন উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভোর রাতে টঙ্গীর মাজার বস্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন গাজীপুর মহানগর তাঁতী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার হোসেন সৈকত (৩২) এবং তার সহযোগী শাহানুর আহমেদ অমিত (১৮), হিরা (৩২), বায়জিদ (২৭), জাহিদ (১৯) ও নূর ইসলাম (২৭)।
তাদের কাছ থেকে একটি রিভলবার, শর্টগানের চার রাউন্ড বুলেট, হিরোইন, মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়।
আটক সৈকত গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গাজীপুর এলাকায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে র্যাব জানায়।
র্যাব-১ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মুহাম্মদ আহনাফ রাসিফ বিন হালিম জানান, শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহরিয়ার হোসেন সৈকত বিভিন্ন সময় মাদক সম্রাট রবিউল ইসলাম বাবুর সহযোগী হিসেবে অস্ত্রসহ টঙ্গী এলাকায় শোডাউনসহ মাজার বস্তির বিভিন্ন স্পটে মাদককারবারি করেন। এর আগেও যৌথ বাহিনীর অভিযানের সময় তিনি পালিয়ে যায়।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার ভোর রাতে র্যাব অভিযান চালিয়ে টঙ্গী পূর্ব থানাধীন সেনকল্যাণ এলাকা থেকে শাহরিয়ার হোসেন সৈকতকে আটক করে। পরে অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি অস্বীকার করে। একপর্যায়ে তার অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফরেনসিক করে মাজার বস্তিতে মাদক বিক্রিসহ, নারীদের ব্যবহার করে হানিট্রাপিং এবং মাদক বিক্রির বিপুল পরিমাণ টাকার ভিডিওসহ ছবির সন্ধান পায়। ওই ছবি এবং ভিডিওর সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে মাজার বস্তির বিভিন্ন স্পটে অভিযান চালিয়ে তল্লাশি করে একটি রিভলবার উদ্ধার করা হয়।
মেজর মুহাম্মদ আহনাফ রাসিফ বিন হালিম আরো জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে উদ্ধার রিভলবার ভারতে স্থানীয়ভাবে তৈরি করা। উদ্ধার অস্ত্রটি মাদক সম্প্রাট রবিউল ইসলাম ওরফে কিং বাবুর মাদক স্পট থেকে পাওয়া গেছে। পাশের কয়েকটি মাদক স্পট থেকে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু শর্ট গান এমুনিশন পাওয়া যায়।
উদ্ধার রিভলবারসহ আসামিদের থানায় হস্তান্তর এবং মামলার প্রক্রিয়া চলমান আছে বলেও জানান তিনি।