রাজবাড়ির গোয়ালন্দে নিখোঁজ হওয়ার পাঁচদিন পর জিহাদ সরদার (৩০) নামে এক যুবকের মাথা ছাড়া লাশ উদ্ধার করেছে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ।
রোববার (২৭ এপ্রিল) সকাল ৭টার দিকে লাশটি পদ্মা নদীর অন্তার মোড় এলাকার কাঁচরন্দপুর থেকে উদ্ধার করা হয়।
জিহাদ সরদার গোয়ালন্দ উপজেলার ছোটভাকলা ইউনিয়নের চর বরাট গ্রামের মো: শহিদ সরদারের ছেলে।
জানা যায়, জিহাদ ঢাকার একটি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। গত বৃহস্পতিবার বাড়িতে এসে রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। এরপর এক বন্ধুর সাথে একটি বাগানে গভীর রাত পর্যন্ত মোবাইলে লুডু খেলে। এরপর আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। এক পর্যায়ে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এরপর আজ রোববার সকালে জিহাদের লাশ পদ্মা নদীর অন্তার মোড় এলাকার কাঁচরন্দপুর স্থানে স্থানীয়রা ভাসতে দেখে থানায় খবর দেয়।
গোয়ালন্দঘাট থানা পুলিশ সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশটি উদ্ধার করে। এ সময় লাশের সাথে মাথা ছিল না। এছাড়া তার পেট ফাঁড়া ছিল এবং উলঙ্গ অবস্থায় লিঙ্গ বিচ্ছিন্ন ছিল। এ অবস্থায় পুলিশ তাকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজবাড়ী মর্গে পাঠায়। লাশটি দেখে জিহাদের পরিবারের লোকজন জেহাদের লাশ বলে শনাক্ত করে।
জিহাদের ছোট বোনের জামাই নাজিরুল ইসলাম রাজু জানান, জিহাদ নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে তাকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করা হয়। কোথাও খুঁজে না পেয়ে গোয়ালন্দঘাট থানায় জিডি করা হয়। তবে প্রথমে পুলিশ জিডি নিতে চাচ্ছিল না। এরপর জিহাদের লাশ আজ ভোর বেলায় পদ্মা নদীর পানিতে ভাসতে দেখে স্থানীয়রা বাড়িতে খবর দেয়। আমরা তাকে মাথাবিহীন অবস্থায় দেখতে পেলেও জেহাদের লাশ আমরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি।’
পুলিশ জিহাদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ীতে পাঠানোর পর রাজবাড়ী থেকে লাশ আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আমরা লাশ নেয়ার পর দাফনের ব্যবস্থা করছি।
এ বিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম জানান, খুব সকালে স্থানীয়দের কাছে নদীতে লাশ ভাসতে থাকার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। তবে লাশের শরীরে কোনো পোশাক ছিল না। লিঙ্গ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় পেট ফাড়া ছিল। মাথাবিহীন অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করা হয়। এটি জিহাদের লাশ কিনা নিশ্চিত হওয়ার জন্য রাজবাড়ীর মর্গে পাঠানো হয়েছে। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না লাশটি জিহাদের কিনা।